বারবার বাধা আসছে সলমনের জীবনে। কর্মক্ষেত্রেও শান্তি নেই 'ভাইজান'-এর। একদিকে কড়া নিরাপত্তা, অন্যদিকে প্রাণনাশের ভয়! দুয়ে মিলে একেবারে নাজেহাল অবস্থা যেন সলমনের। এবার তাঁর 'ব্যাটেল অফ গলওয়ান' ছবির সেট মায়ানগরীতে তৈরি হলেও শুটিং হল না। ফের ছেদ পড়ল তাঁর কাজে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হুমকির জেরেই কি এমনটা হল?
জানা গেল, ভাইজানের নিরাপত্তার জন্য নয় বরং অন্য এক কারণেই মুম্বইয়ের সেট ভাঙা হয়েছে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, আগস্টের ২২ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ অবধি লাদাখে বেশ কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্সের শুট হবে। পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া দাবি করেছেন, চিত্রনাট্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শুটিং করতে চান তিনি। তাই, আপাতত, মুম্বইয়ের শুটিং অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ছবির শেষ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, রুপোলি শহরে কোনও গানের সিকোয়েন্স বা প্যাচওয়ার্ক করা দরকার কিনা।

প্রসঙ্গত, সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে এক মাসেরও কম সময় দু’বার হামলা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সেখানে ২৫ রাউন্ড গুলি চলে। কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে পরপর হামলায় ভারতের অন্যতম কৌতুকলিল্পীর আতঙ্ক আরও বেড়ে গেল।
অভিযোগ অনুযায়ী, এবার হামলা চালিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের লোকজন। কপিল তাঁর শো 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউড তারকা সলমন খানকে আমন্ত্রণ জানান। সেই কারণেই নাকি লরেন্সের দলের রোষদৃষ্টিতে পড়েন তিনি। সম্প্রতি একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে এই হামলা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ফোন কেড়ে নিয়ে বছরভর ঘরে আটকে রাখেন আমির খান! জোর করে দেন ওষুধও? বিস্ফোরক অভিযোগ ভাই ফয়সলের
সেটিতে যে ব্যক্তির গলা শোনা গিয়েছে, সে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য হ্যারি বক্সার বলে দাবি। জানানো হয়, কপিল শর্মার ক্যাফেতে দু’বার গুলি চালানো হয়েছে কারণ তিনি নেটফ্লিক্সের একটি শোয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সলমনকে ডেকেছিলেন। বলিউড অভিনেতা 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-এর তৃতীয় সিজনের প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন, যা শুরু হয়েছিল ২১ জুন।
সলমন-ঘনিষ্ঠদের সতর্ক করে হ্যারি। তার কথায়, "কেউ যদি সলমনের সঙ্গে কাজ করে, সে ছোট অভিনেতা হোক বা পরিচালক, আমরা কাউকেই রেহাই দেব না। আমরা তাদের হত্যা করব। তাদের হত্যা করার জন্য আমরা যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারি।“
পাঞ্জাব পুলিশ এবং এনআইএ-র ওয়ান্টেড বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য গোল্ডি ঢিল্লোঁ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সে জার্মানিতে। পাঞ্জাবে তার বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং খুনের একাধিক মামলা রয়েছে।
বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে সলমনের শত্রুতা নতুন নয়। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ক্ষোভের মুখে তিনি। লাগাতার প্রাণনাশের হুমিকও পান। গত কয়েক বছর তা আরও বেড়ে যায়। এমনকি সলমনের বাড়িতেও গুলি চলে। তারপর থেকে অভিনেতার নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
