‘বিগ বস ১৯’এ মালতি চাহারকে নিয়ে কনিকা সদানন্দের মন্তব্য ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক থামতেই চাইছে না। ফ্যামিলি-উইকে মালতির ভাই, ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক চাহার বাড়িতে প্রবেশ করে বোনকে সমর্থন জানিয়ে কনিকার মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি তোলেন। এর পরেই নতুন ‘উইকএন্ড কা বার’ প্রোমোয় দেখা গেল, সলমন খানও কনিকার সেই মন্তব্যের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করছেন।

প্রোমোয় সলমনকে বলতে শোনা যায়, “কনিকা, কিছু বিষয়ে আপনি অত্যন্ত অসংবেদনশীল আচরণ করেছেন। মালতির ভাই আপনাকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে আপনার বলা কথাটি সকলেরই খুব খারাপ লেগেছে। আপনি কেন এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে ফেলতে চান?”

কনিকা যখন নিজেকে ব্যাখ্যা করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন, তখন সলমন তাঁকে থামিয়ে দেন। তাঁর কড়া মন্তব্য, “এক সেকেন্ড… মাঝখানে কথা বলবেন না। চুপচাপ শুনবেন। আপনার দেওয়া কারণ আপনার মন্তব্যের থেকেও বেশি খারাপ ছিল। আমি তো আপনাকে ভিডিওটা দেখাতে যাচ্ছিলাম…”
এ কথা শুনেই কনিকা অনুরোধ করেন, “না, দয়া করে, আমাকে এই লজ্জা থেকে বাঁচান।”

গত সপ্তাহে ফারহানা ভাট এবং মালতি চাহারের তর্কের সময় মালতি যখন ফারহানার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, সেই পরিস্থিতি নিয়ে কনিকা তানিয়া মিত্তলকে বলেন, “আমি ১০০% নিশ্চিত, ও লেসবিয়ান।”
মালতির যৌনতা নিয়ে এমন মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পরে রোহিত শেট্টিও তাঁকে এই মন্তব্যের জন্য তিরস্কার করেন। কনিকা যদিও দাবি করেন, তিনি ‘ভিন্ন প্রসঙ্গে’ মন্তব্যটি করেছিলেন।

নয়ের দশকে বলিউডের অলিগলি সরগরম হয়েছিল তাঁদের সম্ভাব্য সম্পর্কের খবরে। যদিও দু'জনের কেউই সেই সম্পর্কের বিষয়ে কখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে বারবার একসঙ্গে তাঁদের নাম উঠে এসেছিল। সিনেমা ও মিউজিক সার্কিটের মাধ্যমেই নাকি আলাপ হয় দু’জনের। সে সময় কনিকা ছিলেন বলিউডের পরিচিত মুখ ও সোশ্যাল সার্কিটে সক্রিয় নাম। প্রেম নাকি তীব্র হলেও শেষমেশ তা টেকেনি।

চলতি সপ্তাহের ‘উইকএন্ড কা বার’-এ সলমন শুধু কনিকাকেই নয়, আমাল মালিক এবং শেহবাজ বাদেরশাকেও ‘বিগ বস’কে পক্ষপাতদুষ্ট বলার জন্য ভর্ৎসনা করেছেন। সলমনের অভিযোগ, আমাল শক্তিশালী প্রতিযোগীদের (গৌরব খান্না, ফারহানা ভাট, প্রণিত মোরে) সামনে কিছু না বলে পিছনে কটূক্তি করছেন এবং মালতির প্রতিও অসম্মানজনক আচরণ করেছেন।

 বরাবরের মতো ‘বিগ বস ১৯’ ছিল অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, ব্যক্তিগত জীবনের খোলামেলা স্বীকারোক্তি এবং সম্পর্কের টানাপোড়েনে ভরা। কনিকা বিতর্কিত মন্তব্য থেকে শুরু করে আমাল–শেহবাজের কার্যকলাপ—সব কিছুই প্রমাণ করে, এই সিজনে প্রতিযোগীদের আবেগ, মতভেদ এবং ব্যক্তিগত লড়াই যেন এক নতুন মোড় নিচ্ছে। সামনে আরও কী কী অপেক্ষা করছে, তা জানতেই মুখিয়ে অনুরাগীরা।