অক্ষয় কুমার আর সইফ আলি খানের বন্ধুত্বের গল্প যত পুরনো, তার মজার ঘটনাগুলোও কিন্তু ততই প্রায় কিংবদন্তিসম। আর এবার সেই সব রসালো স্মৃতি উঠে এল টুইঙ্কল খান্না আর কাজলের চ্যাট শো ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’-এর তৃতীয় পর্বে।
শোয়ের শুরুতেই টুইঙ্কল মজা করে বললেন, “আজ আমাদের সোফায় সেই অতিথিই বসেছে, যিনি একদিন কাজলের বাথরুমে স্নান করেছিলেন!” শোনামাত্রই কাজল খানিক লজ্জা পেয়ে হেসে ব্যাখ্যা দিলেন, “সইফ আমার তিনটে বাড়ির পরে থাকত। মালাবার হিলে অঞ্চলেও কখনও কখনও এমন হয়, যখন বাড়িতে জল আসে না। তখন ও আমার বাড়িতে এসে স্নান করেছিল!” সঙ্গে সঙ্গে টুইঙ্কলের খোঁচা, “কাজলের বাথরুমে একটা ছোট ক্যামেরাও ছিল, সেখানকার ছবি ও এখনও আমাকে দেখায়!”
এরপর সইফের মুখে শোনা গেল বাথরুম নিয়ে আরও এক দুর্দান্ত ঘটনা — ১৯৯৪ সালের ‘ইয়ে দিল্লাগি’ ছবির শুটিং চলাকালীন। সইফ বললেন,
“আমরা তখন শিমলায় শুট করছিলাম। সৈয়দ জাফরি সাহেব ছিলেন আমাদের সঙ্গে। উনি একটু মদ খেয়ে আমার কাঁধে ঘুমিয়ে পড়তেন, আবার হঠাৎ উঠে বলতেন, ‘এই লোকটা এখনও কথা বলছে?’— ভীষণ মজার মানুষ ছিলেন উনি!”
সইফের মুখ থেকে কথা কেড়ে অক্ষয় এবার এক ‘বাথটব কাণ্ড’-এর গল্প উন্মোচন করলেন — “সইফ তখন নিজের ঘরের বাথটবে মোমবাতি জ্বালিয়ে স্নান করছে। পাশে ঘরে থাকতেন সৈয়দ জাফরি। উনি ভুল করে ভাবলেন, এটাই ওঁর ঘর, তাই জামাকাপড় খুলে সটান ঢুকে পড়লেন বাথরুমে! আর পর্দা সরাতেই দেখলেন, সইফ নগ্ন অবস্থায় টবে বসে! আর তখন উনি ভাবছেন, ‘এটা তো আমার বাথরুম। এখানে সইফ কী করছে?’”

অক্ষয় হেসে নিজের কল্পনাও যোগ করলেন, “তারপর উনি বললেন, ‘ওকে।’ আর টবেই ঢুকে পড়লেন দু’জনে একসঙ্গে!” সইফও মুচকি হেসে জবাব দিলেন,“এখন তুমি এই ব্যাপারটাকে পুরো হাউসফুল ৪ বানিয়ে ফেললে!” চটুলতা, বন্ধুত্ব আর পুরনো দিনের নস্ট্যালজিয়া— এই এক পর্বেই জমে গেল হাসির তুফান। দর্শকরা বলছেন, এই পর্বই এখন পর্যন্ত শোয়ের ‘সবচেয়ে মজার’ অংশ!
প্রসঙ্গত এই শোতে করিনার সঙ্গে নিজের প্রেমের শুরুর দিকের অজানা কাহিনি শোনালেন সইফ, আর সেই গল্পে লুকিয়ে আছে মেমন ওল্ড-স্কুল রোম্যান্স, আবার তেমন খানিক দুষ্টুমিও! কিন্তু এই রূপকথার শুরুটা কিন্তু ছিল মোটেই সহজ নয়!
২০০৭ সালে যখন ‘টশন’-এর শুটিং চলছিল, তখনই একে অপরের প্রতি টান অনুভব করতে শুরু করেন সইফ ও করিনা। সইফের ততদিন বিগত বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটেছে—১৯৯১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি ছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিং-এর স্বামী। দুই সন্তান—সারা ও ইব্রাহিম। অন্যদিকে, করিনার সঙ্গে সদ্য বিচ্ছেদ হয়েছে শাহিদ কাপুরের সঙ্গে।সেই সময়ই লাদাখে শুটের ফাঁকে দু’জনে দীর্ঘ পথ হাঁটতে বেরোতেন। সইফ বললেন, “করিনা আমাকে একের পর এক অনেক প্রশ্ন করত—প্রেম সম্পর্কে আমার ধারণা কী, ভালবাসার মানে আমার কাছে ঠিক কেমন... যেন পরীক্ষা-সাক্ষাৎকার চলছে! আমিও দিত ম সাধ্যমতো সব জবাব। ও আমার মনোভাব বুঝে নিয়েছিল ওরকম করেই।মানে খুবই পুরনো ধাঁচের একটা ব্যাপার ছিল।”
