৭ নভেম্বর, মুক্তি পেল রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল' ছবির গান 'সোনা বন্ধু রে'। গানটি ইমন চক্রবর্তীর গাওয়া। আগামী ২১ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে 'লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল'।  রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, রাজনন্দিনী পাল, পাওলি দাম, সায়নী ঘোষ, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, প্রমুখ।

 


এই ছবিতে বহু বছর পর আবারও বড়পর্দায় দেখা যাবে সায়নীকে। বর্তমানে বিনোদন জগতে তেমন একটা দেখা পাওয়া যায় না তাঁর। রাজনীতির ময়দানেই বেশিরভাগ সময় নজর কাড়েন সায়নী ঘোষ। তবে এই ছবিতে তাঁর অভিনয়কে 'ঘরে ফেরা' বলতে নারাজ সায়নী। 

 


আজকাল ডট ইন-কে তিনি বলেন, "অভিনয় থেকে একদম দূরে যে ছিলাম, তা কিন্তু নয়। টুকটাক কাজ তো চলছিলই। তবে হ্যাঁ, এই চরিত্রটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। এই লক্ষ্মীকান্তপু্র লোকালে সবাই বিভিন্ন কাজের জন্য ওঠেন‌‌। আমি, পাওলিদি, চান্দ্রেয়ীদি সবাই নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছব বলে উঠি। আমাদের বাড়িতে যে কাজের দিদি বা মাসিরা থাকেন, তাঁদের চরিত্রেই অভিনয় করেছি আমরা। এর আগে সেভাবে তাঁদের কেন্দ্র করে, তাঁদের জীবনযাত্রাকে কেন্দ্র করে কোনও ছবি তৈরি হয়নি। তাই এই ছবিটা একটু অন্যরকম হতে চলেছে। গল্পে আমার চরিত্রের নাম সরস্বতী।" 

 


সায়নীর কথায়, "এক সময় একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে আসেন গ্ল্যামার দেখানোর জন্য। আমি যখন কাজ শুরু করেছিলাম, তখনও এরকম কথা বহুবার শুনেছি। কিন্তু তারপরে তারাই বিভিন্ন সময় বলেছে সায়নীকে দেখে অভিনেত্রীর থেকে অনেক বেশি নেত্রী মনে হয়। আমি মনে করি, এটাই বড় প্রাপ্তি।" 

 

 

বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলা ছবির মুক্তির দিনক্ষণ নিয়ে সময়সীমা বদল হয়েছে। তৈরি হয়েছে বেশ কিছুটা টানাপোড়েনও। এই প্রসঙ্গে, সায়নী বলেন, "আসলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সবাইকে অন্যের সাফল্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। একটা কথা আছে না, বন্ধুর খারাপ হতে দেখলে কষ্ট হয়, আর ভাল হতে দেখলে আরও বেশি কষ্ট হয়। এটাও ঠিক তেমনই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটা শুধু অভিনেতা-পরিচালকদের নিয়ে তৈরি নয়। অনেকেই যুক্ত আছেন এর সঙ্গে। তাই আমার মতে রেষারেষি না করে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে তবেই টলিউডের উন্নতি হবে।"