২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া 'কান্তারা'র প্রথম ভাগ ছিল এক নিঃশব্দ ঝড়। ছোট বাজেটের ছবি হয়েও অপ্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছিল বক্স অফিসে। চমকে গিয়েছিল ছবি সমালোচকের দল। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবির প্রিক্যুয়েল নিয়েও উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। আর মুক্তির পর দর্শককে এতটুকু নিরাশ করেনি 'কান্তারা: আ লেজেন্ড – চ্যাপ্টার ওয়ান'। একনাগাড়ে প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছে ঋষভ শেঠির এই ছবি। বিশেষ করে ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য মুগ্ধ করেছে সিনেপ্রেমীদের। আর চূড়ান্ত দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে কতটা পরিশ্রম করেছেন ঋষভ, নিজেই জানালেন অভিনেতা।
ছবির ক্লাইম্যাক্স বা চূড়ান্ত দৃশ্যের সময় ঋষভের শরীর ছিল ভীষণ ক্লান্ত, তাঁর পা ফুলে গিয়েছিল। তবুও থামেননি তিনি। সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করা কিছু ‘বিহাইন্ড দ্য সিনস’ ছবিতে ফুটে উঠেছে কন্নড় অভিনেতার দাঁতে দাঁত চিপে শুটিংয়ের গল্প।
ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একদিকে ঋষভের চোখে তীব্র ক্লান্তি, অন্যদিকে দৃঢ় মনোবল। তাঁর কথায়, ‘‘ক্লাইম্যাক্স অংশটি শুট করার সময় আমার পা ফুলে গিয়েছিল, সারা শরীর ছিল পরিশ্রান্ত। তবুও কাজ থামাইনি, কারণ এই দৃশ্যটাই ছিল পুরো সিনেমার প্রাণ।” তিনি আরও লিখেছেন, “সেই সময় শরীরের প্রতিটি অংশে ব্যথা ছিল। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদ ও দর্শকদের ভালবাসাই আমাকে শক্তি দিয়েছিল। আজ যখন দেখি মানুষ সেই দৃশ্য দেখে অভিভূত, তখন মনে হয় সব কষ্ট সার্থক।”
ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই ঋষভকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকরা। এক ভক্ত যেমন লিখেছেন, “এই ক্লাইম্যাক্সের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না, অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন আপনি।” আরেকজন মন্তব্য করেন, “আমি ছবিটা দু’বার দেখেছি। আপনার পরিশ্রম ও নিবেদনই ছবিটিকে অনন্য করেছে।”

‘কান্তারা’ শুধু রিশব শেট্টির অভিনয়ের নয়, তাঁর পরিচালনার জাদুরও সাক্ষী। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা দেশ জুড়ে রেকর্ড গড়ে প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা আয় করেছিল। তারই প্রিক্যুয়েল 'কান্তারা: আ লেজেন্ড – চ্যাপ্টার ওয়ান’ মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের ২ অক্টোবর। মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই ছবিটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। ইতিমধ্যেই আয় ছাড়িয়েছে ৬৫৫ কোটি টাকা।
দক্ষিণ ভারতের লোকগাথা ও দেবভক্তির মিশেলে গড়া এই কাহিনিতে গভীর আবেগের সঙ্গে ঋষভ নিজের সংস্কৃতি ও শিকড়কে ফুটিয়ে তুলেছেন। পরিচালক থেকে অভিনেতা-দুই ভূমিকাতেই তাঁর নিষ্ঠা ও শারীরিক পরিশ্রম সকলের মনকে ছুঁয়ে গিয়েছে।
