ফের বিতর্কে রাখি সাওয়ান্ত। প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে তিনি। তিনি আচমকাই বলে ওঠেন, “ধরমজির মৃত্যু দু’তিন আগেই হয়ে গিয়েছিল। তিনি আমার স্বপ্নে এসেছিলেন।” কারও ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পরেও আলোচনায় আসার সুযোগ কখনও হাতছাড়া করেন না তিনি—এমন অভিযোগ বহুবার উঠেছে। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে এখনও সামলে উঠতে পারেননি ভক্তরা। তার মাঝে তাঁর এই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল বলে মনে করছেন অনেকেই।

বুধবার মুম্বইয়ে এক ইভেন্টে হাজির হয়েছিলেন রাখি সাওয়ান্ত। সেখানে মিডিয়া তাঁর কাছ থেকে ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, হাসিমুখ থেকে হঠাৎই গম্ভীর হয়ে ওঠেন তিনি। রাখি বলেন, “যা নাটক হয়েছিল… দু’তিন আগেই ওঁর মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল।”

তাঁর এই দাবি শুনে সাংবাদিকরা বিস্মিত হন। একজন প্রশ্ন করেন, “আপনাকে কে এই তথ্য দিল?” রাখি জবাব দেন, “আমাকে অনেকেই বলেছে।” এরপর তিনি আরও বড় দাবি করতে শুরু করেন—“আমি স্বপ্নও দেখেছিলাম। ওখানকার চিকিৎসারাও আমায় বলেছিলেন…”

ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে রাখি আরও বলেন, ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যের আগে ভক্তদের তাঁকে শেষবার দেখার সুযোগ না দেওয়ায় তিনি ব্যথিত। তাঁর কথায়, “আমার কষ্ট হয়েছে যে ওঁর সঙ্গে ওঁর অনুরাগীদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ধর্মেন্দ্রজি পুরো পৃথিবীর সুপারস্টার ছিলেন। আমার হিরো ছিলেন।”

রাখির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে তাঁকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে সমালোচনা করেছেন। 

রাখিকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। নানা সময়ই নানা ‘আজগুবি’ মন্তব্যের কারণে চর্চায় থাকেন তিনি।

ধর্মেন্দ্রর প্রার্থনা সভা ‘সেলিব্রেশন অব লাইফ’ ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টা থেকে মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে যোগ দিচ্ছেন বলিউডের সব তারকারা সহ অভিনেতার কাছের মানুষেরা।

২৪ নভেম্বর, সোমবার  ৮৯ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা গুরুতরভাবে বাড়ছিল। সেই কারণে চলতি মাসের শুরুতে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

তাঁর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে নেমে আসে শোকের ঢেউ। ভক্ত, সহকর্মী, বলিউডের তারকারা সকলেই বাকরুদ্ধ, স্তব্ধ। ভারতীয় সিনেমার আকাশ থেকে যেন ঝরে পড়ল এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।

ছয় দশকেরও বেশি বিস্তৃত তাঁর অভিনয়জীবনে ধর্মেন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন হিন্দি সিনেমার অন্যতম স্তম্ভ। কখনও অ্যাকশন-হিরো, কখনও মৃদুভাষী রোমান্টিক নায়ক, কখনও আবার নিখাদ কমেডি—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাঁর উপস্থিতিই সাফল্যের সংজ্ঞা বুঝিয়েছিল এক প্রজন্মের বলিউডকে।