সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ছোট ভাইকে হারানোর ক্ষত এখনও তাজা। তবু প্রকাশ্যে এসে গুজব থামাতে বাধ্য হলেন রাহুল দেব। স্পষ্ট জানালেন— 'ডিপ্রেশন নয়, মুকুলের মৃত্যু খাওয়ার অনিয়মেই হয়েছে।'

 

হঠাৎ করেই বলিউড অভিনেতা মুকুল দেবের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিকে। কেড়ে নিয়েছিল আরও একটা চেনা হাসিমুখ। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছিল নানা জল্পনা— কেউ বলছেন হতাশা, কেউ বা নিঃসঙ্গতা। অবশেষে, সামনে এলেন ভাই তথা অভিনেতা রাহুল দেব। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন মুকুল কীভাবে এই পরিণতির দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন।

 

এক সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, “মুকুল হাসপাতালের আইসিইউ-তে ছিল আট দিন ধরে। চিকিৎসকরা জানালেন, ওর শরীর এমন অবস্থায় পৌঁছেছিল খাওয়ার মারাত্মক অনিয়মের কারণে। শেষ চার-পাঁচ দিন তো কিছু খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিল। হ্যাঁ, ও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিল, জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছিল... প্রচুর কাজের প্রস্তাব আসত, তাও ফিরিয়ে দিত। আজ যখন সব রীতি-নিয়ম শেষ করেছি, তখন বুঝতে পারছি কী হারালাম। আর এই ব্যথা হয়তো প্রতিদিন বাড়বে।”

 

রাহুল জানান, ২০১৯ সালে মুকুল দিল্লি চলে যান তাঁদের বাবা-মায়ের দেখভাল করতে। ওই বছরেই তাঁদের বাবা প্রয়াত হন। আর ২০২৩-এ চলে যান মা-ও। এরপর মুকুল ক্রমে নিজেকে গুটিয়ে নেন। লেখালিখিতে ডুবে থাকতেন, কিন্তু একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন। রাহুলের কথায়, “ও মেয়েকে খুব মিস করত। নিজের খেয়াল রাখত না, একা থাকার জন্য আরও গুটিয়ে যাচ্ছিল। অথচ অনেকে এখন বলছে ও ডিপ্রেশনে ভুগছিল। যারা আজ মন্তব্য করছে, তাদের বেশিরভাগই গত কয়েক বছরে ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি।”

 

মুকুলের শরীর নিয়ে সমালোচনার জবাবে রাহুল বলেন, “হ্যাঁ, ওর ওজন বেশ বেড়েছিল। কিন্তু যারা বলছে ও অসুস্থ ছিল, তারা জানে না ও হাফ-ম্যারাথন দৌড়ত। একজন যখন নিজের যত্ন নেওয়া বন্ধ করে দেয়, তা শরীরে ফুটে ওঠেই... কিন্তু যারা এখন নানা কথা বলছে, তারা শেষ কবে ওকে দেখতে গিয়েছিল? হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল? না কি ওর প্রার্থনাসভায় এসেছিল?”