সংবাদ সংস্থা মুম্বই: যেখানে গোটা বলিউড এখন ওটিটি রিলিজে ভরসা করছে, সেখানে একেবারে উল্টো পথে হাঁটলেন আমির খান! তাঁর নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ শুধুমাত্র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে চমকে উঠেছে ইন্ডাস্ট্রি। এই সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও, টলিউডের তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দিলেন এক রকম সতর্কবার্তা। 

 

 

এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন—“ হ্যাঁ, আমির এই ঝুঁকি নিতে পারেন। কারণ তিনি দর্শকের নাড়ি বোঝেন। বহু বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু আমার মনে হয়, এসব করা সত্বেও কিছুই বদলাবে না! ”প্রসেনজিতের সোজাসাপটা মত— “আমির খান চেষ্টা করছেন প্রেক্ষাগৃহ  বাঁচাতে। কিন্তু বাস্তব বলছে, সিনেমা শেষমেশ ওটিটিতেই যাবে, তারপর ছোটপর্দায়। এটাই আমাদের দেশের দর্শকের কাছে পৌঁছনোর রাস্তা। তবে, দেখা যাক এই ‘শুধু থিয়েটার’-মডেল কতদূর যায়। আশা করি, সফল হোক আমির!”

 

 

'সিতারে জমিন পর'-এর শুধু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য ওটিটির তরফে  ১২০ কোটি টাকার প্রস্তাব অফার ফিরিয়েছেন আমির! এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য তথ্য শেয়ার করেছেন ট্রেড অ্যানালিস্ট কমল নাহতা। তিনি জানিয়েছেন, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও-র তরফ থেকে ১২০ কোটি  টাকার প্রস্তাব এলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন আমির। আমিরের মতে, “আমি সিনেমার প্রতি একনিষ্ঠ। আমি বিশ্বাস করি আমার দর্শককে হলে ফেরানো সম্ভব। জানি, এটা একটা বিশাল ঝুঁকি।  কিন্তু আমি সেই বিশ্বাসেই আছি।”

 

 

২০০৭-এর ‘তারে জমিন পর’–এর স্পিরিচুয়াল সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পর’, যেখানে আমির খান এবার এক বিশেষভাবে সক্ষম খেলোয়াড়দের  বাস্কেটবল কোচ। পরিচালনায় আর এস প্রসন্ন।  ছবিতে রয়েছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা ও ১০ জন নতুন মুখ—যাঁরা সকলেই বিশেষভাবে সক্ষম।প্রশ্ন উঠছেই—এই ঝুঁকি কি কেবল এক সুপারস্টারের আত্মবিশ্বাস, না কি সিনেমা হলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই?

 

একদিকে আমিরের সাহসী ভরসা, অন্যদিকে প্রসেনজিতের বাস্তব অভিজ্ঞতা। এই মুহূর্তে একটাই প্রশ্ন—আমিরের এহেন পদক্ষেপের জন্য দর্শক কি ফের দলে দলে প্রেক্ষেগৃহে ফিরবে না কি ওটিটি-র দুনিয়াতেই ডুবে থাকবে?