নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: সইফ কাণ্ডে ৭০ ঘণ্টার মধ্যে মহম্মদ শরিফুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু এরপরও যেন আসল অপরাধীর কিনারা করতে পারছেন না তদন্তকারীরা। আসলে সইফের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তার সঙ্গে শরিফুলের মুখের বিস্তর অমিল রয়েছে। দুটি ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই দুই ব্যক্তি একই কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আর সেই বিতর্কের অবসান করতেই বিশেষ পরীক্ষা করতে চলেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শরিফুলের রক্ত ও পোশাকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এবার ধৃতের ডিজিট্যাল ফেস রেকগনিশন টেস্ট করা হবে। ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে হবে এই টেস্ট। সিসিটিভি থেকে পাওয়া ছবি ও ধৃত ব্যক্তি এক কিনা তা এই টেস্টে নিঁখুতভাবে খুঁটিয়ে দেখা হবে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সইফের বাড়িতে হামলার পরে চুল কেটে ফেলেছিল ধৃত শরিফুল ইসলাম। চারিদিকে নিজের ছবি ছড়িয়ে পড়তে দেখে চেহারায় বদল আনতেই চুল কেটে রঙ করিয়ে ফেলে বলে সন্দেহ পুলিশের। ডিজিট্যাল ফেস রেকগনিশন টেস্ট পরীক্ষায় শরিফুলের সঙ্গে সিসিটিভির ছবির সুখের আদল মিলিয়ে দেখা হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সইফ আলি খানের বাড়ির ভিতরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতী। গুরুতর জখম হন করিনা কাপুরের স্বামী। ভোররাতে তাঁকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিকভাবে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, বান্দ্রার সৎগুরু শরণ সইফের ওই ফ্ল্যাটের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় ছিল না। যদিও পরে পুলিশ দাবি করে, আপৎকালীন দরজার দিকে পিছনের সিঁড়ির ক্যামেরা থেকে কিছু ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে সামনে আসা এক ব্যক্তির চেহারার উপর ভিত্তি করে প্রাথমিকভাবে চার জনকে আটক করেছিল মুম্বই পুলিশ। একেবারে প্রথমে যাকে আটক করা হয় তাঁকে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। সব শেষে গত রবিবার গ্রেফতার হন শরিফুল। ইতিমধ্যে শরিফুল ইসলামের বাবা দাবি করেছেন, সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে তিনি তাঁর ছেলে নন।
