একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে কেবল সুরেলা কণ্ঠের জন্য নয়, পলক মুচ্ছল জনপ্রিয় তাঁর সামাজিক কাজকর্মের জন্যেও। তিনি বরাবরই তাঁর উপার্জনের একটা বিরাট অঙ্ক সমাজের জন্য, বা বলা ভাল দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকার জন্য ব্যয় করেন সেটা সকলেরই জানা। এবার সেই কারণের জন্যই গিনিস বুকে নাম উঠল তাঁর।
কেবল গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নয়, লিমকা বুক অফ রেকর্ডসেও নাম উঠল পলক মুচ্ছলের। পলক তাঁর সংস্থা পলক পলাশ চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের তরফে ৩৮০০ -এরও বেশি শিশুর হার্ট সার্জারি করিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের দুঃস্থ শিশুদের এভাবে সাহায্য করায় তাঁর নাম বিশ্বের দুই জনপ্রিয় রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিল।
মানুষের পাশে দাঁড়ানো, গরীব মানুষকে সাহায্য করা অনেক অল্প বয়স থেকেই শুরু করেছেন পলক। জানা যায়, তিনি যখন নিজেই ছোট ছিলেন, সেই সময় এক ট্রেন সফরে দুঃস্থ শিশুকে দেখেন। আর সেই ঘটনাই তাঁর জীবনকে বদলে দেয়। গায়িকা নিজেই নিজেকে শপথ করেন যে তিনি এমন মানুষদের সাহায্য করবেন একদিন। তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন। কিছু বছর পর, সেই প্রতিশ্রুতির কারণেই তিনি গড়ে তোলেন তাঁর এই সংস্থা। নাম রাখেন তাঁর এবং তাঁর ভাই পলাশের নামে। সমস্ত কনসার্ট থেকে তিনি যা উপার্জন করেঞ্জ এমনকী তাঁর নিজের উপার্জনের একটা বিরাট অংশ সমাজসেবার কাজেই ব্যয় করেন। মানুষের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন পলক।
কেবল দুঃস্থ শিশু নয়, বা চিকিৎসা সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে নয়, বিগত কয়েক বছরে পলক নানা ভাবে নিরলস সমাজসেবা চালিয়ে গিয়েছেন। কখনও তিনি কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হওয়া বীরদের পরিবারদের সাহায্য করেছেন। কখনও আবার ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন গুজরাট ভূমিকম্পে সর্বস্ব হারানো ব্যক্তিদের। পলকের এই মানবিক উদ্যোগে সবসময় তাঁর পাশে থেকেছেন তাঁর স্বামী তথা বলিউডের জনপ্রিয় কম্পোজার মিথুন। তিনি একবার তাঁর বেটার হাফের এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কখনও যদি শো না থাকে, উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়, তবুও কোনও শিশুর সার্জারি থামবে না। ফলে সেখান থেকেই স্পষ্ট, এই তারকা জুটি অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগলেও, মানবসেবার এই পরমধর্ম থেকে পিছু হটবেন না।
প্রসঙ্গত, পলক মুচ্ছল 'কৌন তুঝে', 'মেরি আশিকি', 'প্রেম রতন ধন পায়ো', ইত্যাদির মতো একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন।
