নিজস্ব সংবাদদাতা: দেখতে দেখতে কবীর সুমন ৭৬! ভাবা যায়। মধ্যে সত্তর পেরিয়ে ‘জীবন এখনও আমার কাছে ভীষণ ইন্টারেস্টিং’ বলা বাংলার অন্যতম খ্যাতনামা এই সঙ্গীতশিল্পীর মুখেই মানায়। তিনি যেমন ব্যক্তির আবার সমষ্টিরও, তা যেন নিজের জন্মদিনে নতুনভাবে প্রমাণ করলেন ‘গানওলা’।  

এদিন নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সুমন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একটি গান গাইছেন তিনি। বলা ভাল, ‘কন্ডাক্ট’ করছেন।  মূল হিন্দি গানের সুরকার রবি, রবি শংকর শর্মা। পুরনো গানটি ‘ইয়ে রাতে ইয়ে মৌসম’ গেয়েছিলেন কিশোর কুমার ও আশা ভোঁসলে। সুমনের লেখা বাংলা কথায় এই গানের স্বতন্ত্র মেজাজের নতুন বাংলা ভার্সনটি গাইলেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা। 

https://www.facebook.com/share/p/18vJBD4hNe/?mibextid=oFDknk

 

জনপ্রিয় একটি হিন্দি গানের সুরে বাংলা কথা বসিয়েছেন ‘জাতিস্মর’। সেই গান-ই নির্দিষ্ট ছন্দে, পরিপাটিভাবে গেয়ে চলেছেন সুমন-শিষ্যরা। এই ভিডিওর ক্যাপশনে কবীর সুমন লিখেছেন, এই ছিয়াত্তরে নতুন পর্ব। অল্প বয়স থেকে কিছু হিন্দি ও উর্দু গানের সুর আমায় গভীরে নাড়া দিয়েছে, মুগ্ধ করেছে। তারই কয়েকটির ওপর বাংলা কথা বসাচ্ছি। হিন্দি উর্দু আমি জানি না। যে গানগুলির সুরে বাংলা কথা বসাচ্ছি সেগুলির লিরিকের অর্থ আমি বুঝিনি, বুঝি না। আমার লেখা বাংলা লিরিক একেকটি স্বাধীন স্বতন্ত্র কাজ, এক্সপ্রেশন। 

 

এর আগে আজকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে ‘গানওলা’ জানিয়েছিলেন, মন মাতানো পুরনো বেশ কিছু হিন্দি গানের সুর তাঁকে তাড়া করে বেড়িয়েছে ছোট্টবেলা থেকে। হিন্দি  বুঝতেন না সেভাবে, আজও বোঝেন না তেমন। তবে মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছিল সেসব সুর তাল ছন্দ। সেখান থেকেই তাঁর এই প্রচেষ্টা। 

 

প্রসঙ্গত, গত বছর নিজের জন্মদিনে আজকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান গানের দুনিয়া নিয়েও অকপটে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন ‘নাগরিক কবিয়াল’। বলেছিলেন, “যে যাঁর মতো গান তৈরি করছেন। কিন্তু কেউ খুব একটা শুনছেন বলে মনে হয় না। ভালো কণ্ঠস্বরের অভাব আছে। নিত্য জীবনের শিক্ষাতেও দৈন্যের ছাপ স্পষ্ট। এখন আর কেউ গান মুখস্থ করেন না। খাতা দেখে গাওয়ার সময় এটা। হারমোনিয়াম বাজানোর ঝোঁক কমেছে, বেড়েছে গিটার বাজানো।”