নতুন বছর শুরুর আগে বড়সড় বিপাকে পড়লেন বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। ২০২৫ শেষ হওয়ার আগে তিনি উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়েছিলেন পুজো দিতে। মুসলিম হয়েও হিন্দু মন্দিরে যাওয়া, হিন্দু রীতিনীতি মেনে ভোলেবাবার পুজো করা! নুসরাতের এই কাণ্ড দেখে যারপরনাই ক্ষেপেছেন মৌলবীরা। বিষয়টা একেবারেই পছন্দ হয়নি তাদের। এই অপরাধের কারণে পাপী অভিনেত্রীর জন্য শাস্তি এবং শুদ্ধিকরণের উপায়ও বাৎলে দিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি নুসরাত ভারুচা উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে গিয়ে শিবের ভস্ম আরতি করেন। ভক্তি ভরে পুজো দেন, আশীর্বাদ নেন। তাঁর সেই ঈশ্বর দর্শনের ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে হইচই। মৌলবীরা তাঁর এই কাজের ঘোরতর নিন্দা করেছেন। জানিয়েছেন এটা করে নাকি তিনি শরিয়তি নিয়মের লঙ্ঘন করেছেন।
নুসরাত ভারুচার মহাকাল দর্শনের ভিডিও ভাইরাল হতেই অল ইন্ডিয়া জামাতের জাতীয় অধ্যক্ষ মৌলানা শাহাবুদ্দিন রজবী নিন্দা করেছেন। মুসলিম হয়ে এই কাজ করায় জানিয়েছেন আপত্তি। তাঁর মতে, মুসলিম মহিলাদের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া, জল অর্পণ করা এবং হিন্দু রীতিনীতি মেনে চলা ইসলামের বিরুদ্ধে।
তিনি এও জানিয়েছেন ইসলাম এবং শরিয়ত এমন কাজে অনুমতি দেয় না। ফলে নুসরাত ভারুচা ইসলাম ধর্মের নিয়ম ভেঙেছেন বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন। বিষয়টা গুরুতর অপরাধ বলেও জানান।
মৌলানা এদিন স্পষ্ট করে বলেন, 'শরিয়ত অনুযায়ী নুসরাত অপরাধী। এটা ইসলামের নিয়মের বিরুদ্ধে। এই কারণে ও অপরাধী, পাপীদের গোত্রে পড়ছে। ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। একই সঙ্গে অভিনেত্রীর ইস্তেগফার এবং কলমা পড়া উচিত।'

নুসরাতের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করা মহাকাল দর্শনের ছবি
প্রসঙ্গত এটা প্রথমবার নয়। নুসরাত ভারুচা আগেও মহাকাল মন্দিরে এসেছেন এবং পুজো দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এখানে এলে, শিবের মাথায় জল ঢাললে তিনি মনে শান্তি পান। তিনি এও জানিয়েছিলেন যে প্রতি বছরই তাঁর এই মন্দিরে আসতে ইচ্ছে করে। তবে এই বিতর্কের পর নুসরাত ভারুচা এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
নুসরাত ভারুচা সোনু কি টিটু কি সুইটি, ড্রিম গার্ল, পেয়ার কা পাঞ্চনামা, ছোড়ি, ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ। নিজের ছোটখাটো বিষয়ে অনুরাগীদের আপডেট দিয়ে থাকেন।
