সংবাদ সংস্থা, মুম্বই: বলিউডের আর পাঁচজন নায়িকার চেয়ে আলাদা শ্রদ্ধা কাপুর। হাতে গোনা ছবি করেন, তারকাদের পার্টিতে আনাগোনাও কম। চেহারায় অভিনেত্রী সুলভ হাবভাবের চেয়েও বেশি পাশের বাড়ির মেয়ের মতো তিনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। বিশেষ করে ‘স্ত্রী ২’-র সাফল্যের পর শ্রদ্ধার কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। আর আচমকা তাঁর এই সাফল্য মোটেও ভাল চোখে নেননি নেটাগরিকদের একাংশ। সবই নাকি ভনিতা, ভাল মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে খারাপ অভিনেত্রী, এমনই কটাক্ষের শিকার হয়েছেন শ্রদ্ধা কাপুর।
আগস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছে ‘স্ত্রী ২’। তাঁর এক সপ্তাহের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাইলফলক ছুঁয়েছেন শ্রদ্ধা। ফলোয়ারের সংখ্যার দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু শক্তি কপুরের মেয়েকে বলিউড তারকা বলেই মনে হয় না। ভাবভঙ্গি, মেলামেশার ধরন তাঁর অতি সাধারণ। তবে সকলে যে এই বিষয়টি ইতিবাচক বলে মনে করেন, তেমনটা নয়। নেটাগরিকদের একাংশের মতে, “শ্রদ্ধার অভিনয় দক্ষতা এমন কিছু নয়। তাই তাঁর জনপ্রিয়তা যখন তিন খানকে ছাপিয়ে যায় তখন অবাক হওয়ারই কথা!আসলে ‘ভাল মেয়ে’র মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে একজন ‘দুর্বল অভিনেত্রী’।”
আসলে ‘স্ত্রী ২’ সফল হলেও সেখানে শ্রদ্ধার চরিত্রের তেমন জোর ছিল না বলে দাবি নেটপাড়ার। এদিকে ছবির সাফল্যের সমস্ত লাভ উপভোগ করছেন তিনিই। প্রত্যেক বছর যে শ্রদ্ধা অভিনয় করেন তেমনটাও নয়। তবুও তাঁর জনপ্রিয়তায় ছেদ পড়ে না। যার নেপথ্যে নায়িকার অভিনয় নয়, বরং তাঁর জনসংযোগের ক্ষমতা বলেই মত নেটদুনিয়ার। এক সংবাদমাধ্যমে এমনই ইঙ্গিত করেছেন শ্রদ্ধার সহ-অভিনেতা অপারশক্তি খুরানাও। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয়, এটা জনসংযোগের খেলা।”
আসলে কোনও ছবিতেই তেমনভাবে অভিনয়ের প্রশংসা পাননি ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কার’ ছবির অভিনেত্রী। নেটপাড়ার কারওর মতে, “ পর্দায় শ্রদ্ধাকে খুবই আড়ষ্ট মনে হয়। ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’র সাজে লুকিয়ে থাকেন এক খারাপ অভিনেত্রী।” এমনকী অভিনয়য়ের চেয়ে জনপ্রিয়তা বাড়াতে জমসংযোগকে শ্রদ্ধা বেশি কাজে লাগাতে চান, এমন অভিযোগও উঠেছে। এক নেটপাড়ার বাসিন্দা বলেন, “শ্রদ্ধার সমস্ত ভক্তই জনসংযোগ কর্মী। একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে একই রকমভাবে মন্তব্য করা হয়।”
