সংবাদ সংস্থা মুম্বই: কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় বলি-পরিচালক ইমতিয়াজ আলি কথায় কথায় জানিয়েছিলেন তাঁর পরিচালিত ছবি ‘জব উই মেট’-এর গীত এবং আদিত্য বর্তমানে আইনজীবীর দপ্তরে থাকবে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য। পরিচালকের এই মন্তব্যে ভাগ হয়ে যায় নেটপাড়া। কেউ সহাস্যে মেনে নিয়েছে তাঁদের প্রিয় দুই চরিত্রের এরকম সম্ভাব্য ভবিতব্য আবার কেউ একেবারেই মানতে নারাজ এই পরিণতি। এই প্রেক্ষিতে নেটপাড়ায় বলা শুরু হয়েছে জব উই মেট -এর ‘গীত-আদিত্য’ তো কোন ছাড় একসঙ্গে থাকলে বর্তমানে 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া যে জায়েঙ্গে'-এর ‘রাজ-সিমরন’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র ‘বানি-নয়না’-রাও বিচ্ছেদের পথে হাঁটত! কোন যুক্তিতে এই মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা? সেই যুক্তিও তাঁরা পেশ করেছেন, যা এইমুহূর্তে দারুণ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। 

 

একজন লিখেছেন, “রাজ অত্যন্ত অপরিণত যুবক ছিল। সিমরন-ও খানিক তাই। নইলে পরস্পরকে সেভাবে না চিনে কেউ পরিবারকে ছেড়ে চলন্ত ট্রেনে লাফ দিয়ে উঠে যায় নতুন সংসার পাতার আশায়?” অন্য একজন লিখেছেন, “বিচ্ছেদ হয়ে যাবে, বলাটা হয়তো বাড়াবাড়ি। কিন্তু হ্যাঁ রাজ যেহেতু উড়ু উড়ু স্বভাবের। তাই বাইরে বাইরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোটাই ওর ধাতে রয়েছে। পারিবারিক ব্যবসাও ও যোগ দিয়ে ফেলেছে এতদিনে। অন্যদিকে, সিমরনের মধ্যে এমন কোনও গুণ দেখেননি দর্শক যাতে মনে হয়, সে রাজকে সফল হওয়ার কোনও লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে দিতে চায় অবিরত।”

 

বানি এবং নয়নাকে নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, “দু’জনের স্বভাব পরস্পরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পুরোপুরি বিপরীত মেরুর মানুষ তাঁরা। ফলে একসঙ্গে থাকাটা বেশ চাপের।” অন্য এক নেটিজেনের বক্তব্য, “দু’জন আলাদা ব্যক্তিত্ব হিসাবে খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু জীবন আমাকে শিখিয়েছে একটি সম্পর্কে যে বেশি ভালবাসে, কষ্টটা সে-ই বেশি পায়। আর এক্ষত্রে নয়না যতটা বানির প্রতি নিবেদিতপ্রাণ, বানি কিন্তু ততটা নয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কষ্টটা কার কপালে লেখা আছে।”