আর ধরে রাখা গেল না! একেবারে সব শেষ হয়ে গেল। দু'জনের মধ্যে মনোমালিন্যের পারদ চড়ছে আরও বেশি। তাই বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন নায়ক-নায়িকা। আইনজীবীর কাছে গিয়ে পৌঁছলেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য। স্ত্রীর পাশে বসে যদিও জানিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত এই সম্পর্কটাকে আরেকটা সুযোগ দিতে চান তিনি। তবে রাজি নন নায়কের স্ত্রী। তিনি সটান জানিয়ে দেন তাঁর অন্য প্রেমিক আছে! তাই বিচ্ছেদের পথেই হাঁটতে চান তাঁরা।
এসব দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন দর্শক মহল। আসলে এই সবটাই ঘটেছে ছোটপর্দায়। নীল ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে অভিনয় করছেন স্টার জলসার ধারাবাহিক 'ভোলেবাবা পার কারেগা' ধারাবাহিকে। গল্পে তাঁর চরিত্রের নাম 'শাক্য'। অন্যদিকে নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। পর্দায় তিনি 'ঝিল'। গল্পে শাক্য আর ঝিলের মোটে বনিবনা নেই। কিন্তু মনে মনে একে অপরকে ভালবাসে তারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুখ ফুটে সে করা কেউই বলেনি।
এদিকে, চৈতির সঙ্গে শাক্যর সম্পর্ক আছে ভেবে সন্দেহ করে ঝিল। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ঝিল ও শাক্যর বিয়ে হয় বলেই এই বিয়েটা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ঝিল। সেই মতো ডিভোর্স পেপারে সই করে। কেন এই বিচ্ছেদ চায় সে?আইনজীবীর প্রশ্নে ঝিল জানায়, শাক্য একজন চিকিৎসক আর সে বসতির মেয়ে। তাদের একসঙ্গে পথচলা মানায় না। কিন্তু শাক্য তাতে আপত্তি জানিয়ে বলে এতে তার কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু শেষমেশ বেঁকে বসে ঝিল। সে জানায়, তার অন্য প্রেমিক আছে তাই এই বিয়েটা থেকে বেরতে চায় সে।

ঝিলের মুখে এ কথা শুনে আর কিছু বলতে পারে না শাক্য। তবে মনে মনে অবাক হয় সে। এদিকে, শাক্যকে মিথ্যে বলে দূরে সরিয়ে দিয়ে নিজেই গুমড়ে মরে ঝিল। কষ্টে চোখে জল এলেও মুখে কিচ্ছুটি বলে না সে। বরং চৈতির সঙ্গে শাক্যকে সুখে থাকার জন্য কামনাও করে। কোর্ট চত্বরেই আলাদা হয়ে যায় দু'জনের পথ। কিন্তু সত্যিই কি শাক্য ও ঝিল একে অপরকে ভুলে থাকতে পারবে? নাকি গল্পের মোড়ে আবারও এক হবে তারা? সেই উত্তর তো সময়ই দেবে।
প্রসঙ্গত, সমাজমাধ্যমে ধারাবাহিকের এই প্রোমো সামনে আসতেই নানা গুঞ্জন ভেসে এসেছে। অনেক নেটিজেন 'ভোলেবাবা পার কারেগা'র এই নতুন টুইস্টের সঙ্গে নীলের ব্যক্তিগত জীবনের তুলনা টেনেছেন। আসলে টলিপাড়ার অন্দরের গুঞ্জন আলাদা হতে বসেছে নীল ও স্ত্রী তৃণা সাহার পথ। এই গুঞ্জন অজানা নয় নেটিজেনদের কাছেও। যদিও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি নীল-তৃণা। তবে কানাঘুষো চর্চা চলছেই।
