মুকেশ খান্না। একদা টেলিভিশন তারকা। বর্তমানে অভিনয়ের থেকে বেশি বিতর্কের কারণে থাকেন চর্চায়। মনের কথা বলতে রাখঢাক করেন না কখনওই। মাঝেমধ্যেই নানা কারণে ইন্ডাস্ট্রির একাধিক তারকার উপর উগ্রে দেন ক্ষোভ। এবারও অন্যথা হল না। সম্প্রতি একতা কাপুরের উপর চটলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। জিতেন্দ্র-কন্যার নীতিবোধ নিয়েও তুললেন প্রশ্ন।
সম্প্রতি শুরু হয়েছে ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি ২’। প্রযোজনার দায়িত্বে ফের একতা কাপুর। জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক নিয়ে আপত্তি মুকেশের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একতার উদ্দেশ্য বলেন, “আপনার মনোভাবটা ঠিক কী? আপনি তো নীতিবোধকে তোয়াক্কাই করছেন না। একটা বাড়ির যাবতীয় নিয়মবিধিকে ওলটপালট করে ফেলছেন। কিউকি সাস ভি কভি বহু থি-র মতো শো বানাচ্ছেন যেখানে ছ’জন মহিলা ঝুমকো-টিপ পরে সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র করে চলেছে। সেখানে সব মহিলাই স্বার্থপর। আমাদের দেশের নারীরা এরকম নন। তাও এই ধারাবাহিক কত জনপ্রিয়।”
২৯ জুলাই টেলিভিশনে শুরু হয় ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি ২’। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই রাজনীতি থেকে ফের ধারাবাহিকে প্রত্যাবর্তন স্মৃতি ইরানির। ‘তুলসি’ হয়ে ফের মন জয় করেছেন তিনি। সঙ্গী ‘মিহির’অমর উপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, মৌনী রায়কে রিবুটে একটি বিশেষ ক্যামিও চরিত্রে দেখা যেতে পারে।
সম্প্রতি মুকেশের অগ্নিবাণ ধেয়ে এসেছে রণবীর সিংয়ের দিকেও। চার দশকের বেশি সময়ের কেরিয়ারে বহু দাপুটে তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। প্রায়শই সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করে আলোচনা ও বিতর্কের রাস্তা দেখান তিনি। দাবিও করেন পিলে চমকে দেওয়ার মতো। এবার যেমন তিনি মুখ খুললেন অভিনেতা রণবীর এবং ‘শক্তিমান’ ছবির বিষয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ খোলাখুলি বলেন, “তুমি রণবীরকে পছন্দ করো, আমিও করি। ওর সঙ্গে তিন ঘণ্টা বসে কথা হয়েছে শক্তিমান নিয়ে। ও খুব এনার্জেটিক অভিনেতা। কিন্তু আমি ওকে সোজাসুজি বলেছি— তুমি ‘তমরাজ কিলবিশ’ চরিত্রে অভিনয় করতে পারো। কারণ তোমার মুখে এক ধরনের ‘শয়তানি’ আছে। কিন্তু শক্তিমান হতে গেলে চাই পরিণত ব্যক্তিত্ব। রণবীর দর্শককে নাচায়, মাতায়— কিন্তু ‘শক্তিমান’ হতে গেলে শুধু সেটুকুই যথেষ্ট নয়।”
শুধু তাই নয়, মুকেশ আরও যোগ করেন— অনেক ভক্ত তাঁকে সতর্ক করেছেন যাতে রণবীরকে ‘শক্তিমান’ না করা হয়। মুকেশের ভাষায়,
“শক্তিমান চরিত্রের জন্য আমার শুধু একজন পোক্ত অভিনেতা নয়, একটা মুখ চাই। যদি বাস্তবে কারও চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়, সেটা শক্তিমান চরিত্রে প্রভাব ফেলবে। বহু লোক তো সরাসরি আমাকে বলেছে— ‘ ও সাহেব, এই নেশাখোরটাকে শক্তিমান বানাবেন না, আমাদের শৈশবের স্মৃতি শেষ হয়ে যাবে।’”
১৯৯৭ থেকে ২০০৫— ‘শক্তিমান’রূপে টেলিভিশনের পর্দায় মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মুকেশ। নয়ের দশকের গোটা এক প্রজন্মের কাছে অচিরেই হয়ে ওঠেন ‘সুপারহিরো’। যখন ঘোষণা হল যে, ছোটপর্দার সেই কিংবদন্তি এবার আসছে বড়পর্দায়, অনুরাগীদের উচ্ছ্বাস আকাশছোঁয়া।কিন্তু রণবীরকে ‘শক্তিমান’-এর তকমা দিতে নারাজ অভিনেতা। এবার নতুন ধারাবাহিকের জেরে একতার উপরও ক্ষুব্ধ তিনি।
