সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ফের বিস্ফোরক মুকেশ খান্না। ফের তাঁর অগ্নিবাণ ধেয়ে এল বলিপাড়ার দিকে। আরও ভাল করে বললে, বলিউডের দুই জনপ্রিয় মহারথীর দিকে - নাসিরুদ্দিন শাহ এবং শত্রুঘ্ন সিনহা।
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মুকেশ খন্না আবারও শিরোনামে—এবং যথারীতি, একেবারে তাঁর চিরপরিচিত অকপট মেজাজে। চার দশকের বেশি সময়ের কেরিয়ারে বহু দাপুটে তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। প্রায়শই সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করে আলোচনা ও বিতর্কের রাস্তা দেখান তিনি। দাবিও করেন পিলে চমকে দেওয়ার মতো। এবার যেমন তিনি মুখ খুললেন সহপাঠী নাসিরউদ্দিন শাহ এবং পুরনো সহকর্মী শত্রুঘ্ন সিনহা-র ব্যাপারে—আর সেই সব মন্তব্যে মিশে রইল ব্যঙ্গ আর কিছুটা তাচ্ছিল্যও!
সম্প্রতি, মুকেশ বলেন, “নাসিরুদ্দিন শাহ ছিল আমার ফিল্ম ইন্সটিটিউটের সহপাঠী। ও তখন সদ্য ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে এসেছে। তো সেই সময়ে ও একবার আমায় বলেছিল, ‘মুকেশ, বলিউডের লোকজন এসব কী করছে বলো তো? গাছের পিছনে দৌড়চ্ছে, পাখি দেখাচ্ছে।’ আমি তখনই ভেবেছিলাম, ও এখন এসব বলছে বটে তবে ওই যখন মূলধারার ছবিতে অভিনয় করতে আসে, তখন কিন্তু ভারি মুশকিলে পড়বে।’ যাই হোক,পরে যখন ও ‘হিরো হিরালাল’ করল, তখন তো সব করল— গান, নাচ, সব!”
ব্যঙ্গ মেশানো সুরে তিনি আরও যোগ করেন, “নাসির তো আগে একগাল দাড়ি রাখত কারণ ও ভাবত, ওর চিবুকটা ছোট। পরে কিন্তু 'হিরো হিরালাল'-এর জন্য সব দাড়ি কমিয়ে ফেলল—কারণ একমাত্র চরিত্রের প্রয়োজনে ভাল অভিনয়টা করা তখন ওর কাছে প্রধান লক্ষ্য। অন্য কেউ হলে হয়তো এই আপোস করত না।”
এরপর মুকেশ-খোঁচা গেল শত্রুঘ্ন সিনহা-র দিকে। মুকেশ বললেন, “শত্রুঘ্ন তো সবসময় গলা চেপে কথা বলে। ওর ‘খামোশ’ শুনলেই বোঝা যায়, গলা থেকে আসছে, পেট থেকে নয়। আমি দুঃখিত, এটা বলতেই হচ্ছে—ওর সেই আইকনিক গলা আসলে রিয়েল নয়। ‘দোস্ত’ ছবিতেই শুধু ওর আসল গলার ব্যবহার ছিল। বাকি সময় একটাই কণ্ঠস্বর বজায় রেখে নিজের ইমেজ বানিয়ে নিয়েছিল—যা, অবশ্যই, ওর পক্ষে কাজ করেছিল।”
