আজও রেখার রূপের জাদু নজর কাড়ে অনুরাগীদের। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কারওর অজানা নয়। প্রকাশ্যে নিজেই স্বীকার করেন এই কথা। যদিও এক সময় পর্দার 'উমরাওজান' সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ে করেন দিল্লির এক ব্যবসায়ীকে ৷ মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে রেখার বিয়ের খবর নিয়ে সেই সময় চলে জোর চর্চা ৷ তবে বড়ই ক্ষণস্থায়ী ছিল রেখার বিবাহিত জীবন ৷ বিয়ের মাত্র সাত মাসের মাথায় মুকেশ আগরওয়ালের আত্মহত্যার খবরে অবসাদ গ্রাস করে রেখাকে।
এক সাক্ষাৎকারে রেখা জানান, তাঁদের বিয়ে দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই ঠিক করা হয়েছিল ৷ দু'জনের মধ্যে কোনওরকম প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। রেখা সেই সাক্ষাৎকারে আরও জানান, বিয়ের আগে মাত্র একবার তিনি মুকেশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ৷ তাই বিয়েটা ভাগ্যের পরিহাস হিসাবেই দেখেন তিনি।
বিয়ের মাত্র সাত মাসের মাথায় মুকেশের আত্মহত্যার ঘটনায় একাধিক রিপোর্টে ব্যবসায়ীর মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় উঠে আসে ৷ সেই সময় অভিনেত্রী ছিলেন লন্ডনে৷ এই দুর্ঘটনার পর বলিউড ডিভার গায়ে 'ন্যাশনাল ভ্যাম্প' ও 'খুনী'র তকমা লাগে ৷ জীবনের সেই ঝড় ভিতর থেকে রেখাকে ভেঙে দিলেও টলাতে পারেনি ৷ ওই সাক্ষাৎকারে রেখা জানান, অনুরাগীদের থেকে ভালবাসা পাওয়ার পর হঠাৎ এমন কটাক্ষের কারণে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। শোকের মুহূর্তে কেউ ছিল না তাঁর পাশে, জানান রেখা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন রেখা। নিজেই নিজের মনোবল জুগিয়েছেন। কিন্তু আজও সেই অভিশপ্ত দিনগুলো ভুলতে পারেননি তিনি, এমনটাই জানান রেখা।

প্রসঙ্গত, অমিতাভ-রেখার সম্পর্ক নিয়ে আজও কম জলঘোলা হয় না। শুটিং ফ্লোরে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই অমিতাভের প্রেমে পড়েন রেখা। সেই সময় জয়া বচ্চনের সঙ্গে 'বিগ বি'র বিয়ে হয়ে গেলেও রেখা মন দিয়ে ফেলেছিলেন তাঁকে। অমিতাভ-রেখা-জয়ার সম্পর্কের সমীকরণ আজও চর্চায়। তাঁদের সম্পর্কের মতো ত্রয়ীর অভিনীত ছবি 'সিলসিলা'ও দর্শকের মনে গেঁথে রয়েছে। পুরনো প্রেম, পুরনো নস্টালজিয়াকে উস্কে দিয়ে ফের বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে 'সিলসিলা'। চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি পর্দায় রঙ ছড়িয়েছেন অমিতাভ-রেখা-জয়া।
আরও পড়ুন: ‘আমরা কখনও গোমাংস খাইনি’ কেন সলমনের বাড়িতে এই মাংস ঢোকে না? বড় মন্তব্য সেলিম খানের!
সেই সময় রেখা ও অমিতাভের এই সম্পর্কের খবর খুব স্বাভাবিক ভাবেই জয়ার কানে পৌঁছে গিয়েছিল। শোনা যায় একবার, অমিতাভ বচ্চন বাড়িতে না থাকা অবস্থায়, রেখাকে নিজেদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জয়া৷ রেখা ভেবেছিলেন, জয়া বোধহয় তাঁকে অপমান করবেন৷ বরং জয়া রেখার সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করেছিলেন৷ খুব যত্ন করে খাইয়ে সারা বাড়ি ঘুরে দেখিয়েছিলেন রেখাকে। শোনা যায়, জয়া নাকি সেদিন রেখা বলেছিলেন, 'আমি কখনও অমিতকে ছেড়ে যাব না।' জয়ার এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে রেখা কখনওই অমিতাভের সঙ্গে ঘর বাঁধতে পারবেন না।
