টলিউডে এখন প্রেমের মরশুম। শুধু প্রেমই নয়, পরিণতি পেতে চলেছে ভালবাসা। প্রেমিক দেবমাল্য চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মধুমিতা সরকার। দেবমাল্যর সঙ্গে প্রেম কোনওদিন লুকিয়ে রাখেননি মধুমিতা। সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন দু'জনের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত। একাধিক সাক্ষাৎকারেও কথা বলেছেন প্রেমিককে নিয়ে। তখনই জানিয়েছিলেন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় এসেছে।
টলিউডের অন্দর মহল থেকে শোনা যাচ্ছে, আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেত্রী। সেই মতো তোরজোড়ও চলছে জোরকদমে। এর মধ্যেই আইবুড়োভাত খেতে শুরু করেছেন মধুমিতা-দেবমাল্য। রবিবার প্রথমবার দু'জনে একসঙ্গে আইবুড়োভাত খেলেন মধুমিতা-দেবমাল্য। তাঁদের বন্ধুরা আয়োজন করেছিলেন আইবুড়োভাতের। প্রথম আইবুড়োভাতে সাদা-কালোয় সেজেছিলেন দু'জনে। এদিন খাবারের পাতে ছিল অবাঙালি পদ। চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল খাবারেই প্রথম আইবুড়োভাত পর্ব সারলেন জুটিতে। এদিন মধুমিতা পরেছিলেন অফ হোয়াইট সালোয়ার কামিজ এবং হবু বর দেবমাল্যের পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি। এবার কনের সাজে মধুমিতাকে দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় অনুরাগীরা।
শোনা যাচ্ছে, বারুইপুর রাজবাড়ি অথবা শোভাবাজার রাজবাড়ির কোনও একটিতে বিয়ে হওয়ার কথা মধুমিতা-দেবমাল্যের। এই দুই জায়গার কথা যে হবু বর-কনে ভেবেছেন, সেটা জানিয়েছেন। তবে এখনও আলোচনার পর্ব চলছে বলেই দাবি জুটির।
এই মুহূর্তে মধুমিতাকে দর্শক দেখছেন স্টার জলসার ধারাবাহিক 'ভোলেবাবা পার কারেগা'য়। এই গল্পে তাঁর চরিত্রের নাম 'ঝিল'। বহু বছর পর ছোটপর্দায় ফিরে মধুমিতা জুটি বেঁধেছেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের সঙ্গে। মধুমিতা ও নীলের জুটিকে অনস্ক্রিন দেখে বেশ পছন্দ করেছেন দর্শক। অন্যদিকে, শুরু হয়েছে অভিনেত্রীর পরবর্তী ছবি 'অটোবি'। থ্রিলার ঘরানার এই ছবির পরিচালনায় সৌমাভ ব্যানার্জি। প্রযোজনায় ডিকে ভারতী ও সিদ্ধি বিনায়ক ক্রিয়েশন। মধুমিতা সরকার ছাড়াও ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ইনায়া চৌধুরী, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরিয়ান ভৌমিক।
গল্পে মধুমিতার চরিত্রের নাম 'ডিম্পল'। ইনায়ার চরিত্রের নাম 'তানিয়া'। অন্যদিকে, আরিয়ানকে দেখা যাবে মধুমিতার স্বামী 'সঞ্জীব'-এর চরিত্রে। একজন সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে এবং জঙ্গলের গাইডের চরিত্রে থাকবেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
গল্পের শুরু হয় অতীতের এক মর্মান্তিক পারিবারিক দুর্ঘটনা দিয়ে, যেখানে দুই বোন—ডিম্পল এবং তানিয়া—তাদের চোখের সামনে বাবা-মায়ের ভয়াবহ মৃত্যু দেখে। এই মানসিক আঘাত দুই বোনকে একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে রাখে। বড় হওয়ার পর ডিম্পল তানিয়ার প্রতি অতিরিক্ত রক্ষণশীল হয়ে ওঠে।
দুঃস্বপ্নের শুরু হয় যখন ঝাড়গ্রাম পুলিশ স্টেশন থেকে ডিম্পল একটি ফোন পায়। জানা যায়, স্কুল শিক্ষিকা তানিয়া গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ । তদন্তে উঠে আসে এক ভয়ানক তথ্য—তানিয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছিল চামসুট্টি জঙ্গলের সামনে। যা স্থানীয়দের কাছে আত্মহত্যার জায়গা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় লোককথা অনুযায়ী, এই জঙ্গল নাকি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বোনের খোঁজে সেই জঙ্গলে গিয়ে কী পরিণতি হবে ডিম্পলের? সেই নিয়েই এগোবে গল্প।
