দীপিকা পাড়ুকোনের ‘স্পিরিট’ এবং ‘কল্কি ২’ ছবির কাজ থেকে সরে যাওয়া নতুন করে আলোড়ন তুলেছিল। নায়িকা জানিয়েছিলেন, সদ্য মা হওয়ায় আট ঘণ্টার বেশি তিনি কাজ করবেন না। এবার এই বিতর্কে নিজের মতামত জানালেন টলিউড ও বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্কণা সেন শর্মা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দীপিকা খুবই প্রগতিশীল। আমাদের আরও এমন মানুষ প্রয়োজন।”

কঙ্কণা আরও যোগ করেন, তিনি সেটে সকলের ক্ষেত্রে সমাণ আচরণের পক্ষপাতী এবং দীপিকার দাবি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, “শিল্পে কিছু নিয়ম থাকা উচিত। আমরা ১৪-১৫ ঘণ্টা কাজ করতে পারি না। আমাদের ১২ ঘণ্টার কাজের সীমা থাকা উচিত। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন ছুটি থাকা উচিত, বিশেষ করে কলাকুশলীদের জন্য। সমতা থাকা উচিত। এরকম যাতে না হয় যে, পুরুষ অভিনেতারা দেরিতে আসছেন বা দীর্ঘ সময় কাজ করছেন এবং নারীদের সন্তানকে ছেড়ে অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে। সকলে সমানভাবে কাজ করবে।”

কঙ্কণা আগে বলেছিলেন, “আমার মতে শিল্পক্ষেত্রে কাজের একটা সুষ্ঠু সময় থাকা উচিত। আমরা এমন নিউরোসার্জন নই যেখানে আমাদের উপর কারও জীবন-মৃত্যু নির্ভর করে। অবশ্যই প্রোজেক্টে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের টাকা ফেরত পাওয়া জরুরি। কিন্তু এটা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ যে, যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা মানুষ। বিশ্রাম তাঁদেরও প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া দরকার। ১২ ঘণ্টার কাজ প্রায়ই ১৪-১৫ ঘণ্টায় গড়ায়। কিন্তু কাজের নির্দিষ্ট সময় এবং প্রতি সপ্তাহে একদিন ছুটি থাকলে সকলে আরও ভাল ভাবে কাজ করতে পারবে।”

কঙ্কণা স্বীকার করেন, শিল্পক্ষেত্রে ঘড়ির কাঁটা ধরে কাজ করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “যেসব প্রোজেক্টে আমি কাজ করি, সেগুলো সাধারণত ছোট বা মাঝারি বাজেটের। তাই আমাকে আমার জীবন সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হয়। ”
অভিনেত্রী মনে করেন, শিল্পে উন্নতি আনার জন্য এই বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা এবং ধাপে ধাপে পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি বলেন, “এভাবেই আমরা ইতিবাচক একটা চর্চা শুরু করেছি—আলোচনা, সংলাপ, সহযোগিতা, সামান্য প্রতিবাদ এবং সামান্য মানিয়ে চলার মাধ্যমেই পরিবর্তন আসবে। আগে অনেক কিছু খারাপ ছিল, এখন অনেক কিছু উন্নত হয়েছে।”

কয়েকদিন আগে এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকার এই কাজের সময় বেঁধে দেওয়ার প্রসঙ্গে রানি বলেন, “আমিও এরকম করেছি, কিছু ছবিতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই কাজ করেছি। আমার সোজা কথা, যদি প্রযোজক রাজি থাকেন, তাহলে ছবিটা করো। না হলে কোরো না! এটা একেবারেই ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। কেউ কাউকে তো জোর করছে না।”