নিজস্ব সংবাদদাতা: মুক্তি পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'কিলবিল সোসাইটি' ছবির ঝলক। ‘হেমলক সোসাইটি’-র উত্তরসূরি বলা হলেও এই ছবির গল্পের বাঁক আরও জটিল, আরও রহস্যময়।
বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত ভয়ডরহীন পূর্ণার জীবনে এক লহমায় ওলটপালট হয়ে যায় যখন প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও পর্নসাইটে ছড়িয়ে যায়। ঝলকেই টের পাওয়া যায়, তাঁর প্রেমিক-ই এই কাণ্ডটি করেছে। এরপরেই পরিবারের অন্দরেই প্রতিনিয়ত সমালোচনার শিকার হওয়া শুরু হয় পূর্ণার। এবং লোকলজ্জা তো আছেই। পূর্ণা আইচের ভূমিকায় কৌশানী। শেষমেশ নিজেই নিজের মৃত্যুর পরোয়ানা অর্থাৎ 'সুপারি' দেয় কিলবিল সোসাইটিকে। আর সেই সোসাইটির তরফে সেখানে আসেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ মৃত্যুঞ্জয় কর। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ওরফে ‘মৃত্যুঞ্জয় কর—একজন গভীর, বুদ্ধিদীপ্ত ও কিছুটা অদ্ভুত মানুষ, যে মৃত্যুর চেয়েও জীবনের কঠিন বাস্তব নিয়ে কথা বলে। কিন্তু সে কি সত্যিই একজন 'ভাড়াটে খুনি' না কি তাঁর আরও কিছু গোপন উদ্দেশ্য রয়েছে?
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">
View this post on Instagram
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by SVF (@svfsocial)
পূর্ণাকে কি তিনি সত্যিই খুন করবেন নাকি বাঁচিয়ে ফেরাবেন মৃত্যুঞ্জয়? ঝলক থেকেই স্পষ্ট মৃত্যুঞ্জয়ের ক্যানসার হয়েছে। তাঁর মৃত্যু আসন্ন। মৃত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও পূর্ণার প্রেমে পড়ে মৃত্যুঞ্জয়। এমন অবস্থায় অপরপক্ষও কি তাঁর প্রেমে পড়বেন না কি মৃত্যু আলাদা করবে তাঁদের?
ছবির ঝলকে ব্যবহার করা হয়েছে ডার্ক লাইটিং, নানান ক্লোজ-আপ শট এবং কিছুক্ষেত্রে ঝাপসা ব্যাকগ্রাউন্ড, যা দর্শকদের মনে এক অস্বস্তিকর কৌতূহল তৈরি করতে বাধ্য। পাশাপাশি ছবির আবহ সঙ্গীত—কখনও ধীর, কখনও তীব্র, যা ট্রেলারের রহস্যময়তাকে এক ঝটকায় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে ছবির রগরগে সংলাপ-ও। তবে মৃত্যুর খেলা শেষ পর্যন্ত কে জিতবে? সেটা জানতে হলে অপেক্ষা আর মাত্র কিছুদিন!