করণ জোহর প্রশ্ন তুলেছেন— বিনোদন দুনিয়া এবং তার দর্শকরা কি সম্মিলিতভাবে সিনেমা এবং তারকাদের কেবল সোশ্যাল মিডিয়া-কনটেন্টে পরিণত করার ক্ষেত্রে উৎসাহী হয়ে পড়েছে?
রিল, ক্লিকবেইট শিরোনাম এবং পাপারাজ্জি সংস্কৃতির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে করণ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন— এখন সম্ভবত সময় এসেছে স্মার্টফোন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ‘আসল পর্দা— সিলভার স্ক্রিনে’ ফিরিয়ে আনার।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কি শুধু একটা রিল? আমরা কি কেবল একটা ক্লিকবেইট হেডলাইন? শুধুই পাপারাজ্জির উপকরণ? আমরা সবাই কি এতে নিজেদের অবদান রেখে আরও সাহায্য করব? হ্যাঁ, আমরা! চলুন, সিনেমা বানাই… গল্প বলি… ফিরে যাই সেই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পর্দায়— সিলভার স্ক্রিনে! স্মার্টফোনের পর্দা অপেক্ষা করতে পারে…”
করণ আরও জানান, ‘মিডনাইট মিউজিং’-এর মুহূর্তে, বমিভাব নিয়ে ‘ডুম স্ক্রোলিং’ করতে করতেই তাঁর এই পোস্ট লেখা।
করণের মন্তব্যে খানিক বিদ্রূপও লুকিয়ে আছে— কারণ তিনিই বলিউডের অন্যতম সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। এবং নিয়মিত নিজের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মুহূর্ত শেয়ার করেন। এর মাত্র একদিন আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি হাস্যরসাত্মক পোস্টে চ্যাটজিপিটি-কে নিজের ‘নতুন প্রেমিক’ বলে ঘোষণা করে লিখেছিলেন, শুরুতে এআই-কে গ্রহণ করতে সময় লাগলেও এখন তিনি ‘গভীরভাবে প্রেমে পড়েছেন।’ তিনি মজা করে লিখেছিলেন, ‘আশা করি এটা একতরফা প্রেম নয়!’
করণের হাত ধরে বলিউড পেয়েছে একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি। পরিচালক ও প্রযোজক— দুই ভূমিকাতেই তিনি সমান সফল। সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন, স্টাইল ও কনটেন্টে এনেছেন নতুনত্ব। তবু কোথায় যেন তাঁর মনে খচখচ করে— হিন্দি সিনেমার সেই হারানো জৌলুস, সেই সোনালি যুগের রেশ যেন এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছে তিনি।
সম্প্রতি পাপারাজ্জির কারণে বিপাকে পড়েন করণ। ধর্মেন্দ্রর স্মরণসভায় তাঁদের ক্যামেরায় ধরা পড়া পরিচালকের একটি ছবি নিয়ে নিন্দার বন্যা বয়ে যায়। ধর্মেন্দ্র অভিনীত ২০২৩ সালের ‘রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি ’ ছবির পরিচালক করণ জোহরও সানি ও ববির আয়োজিত প্রার্থনা সভায় উপস্থিত হন। তবে সভার একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি গাড়ির ভিতরে বসে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে হাসছেন। এই দৃশ্য দেখে নেটিজেনদের একাংশের ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বেইমান হাসছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘একে দেখে একদমই মনে হচ্ছে না যে সে কোনও প্রার্থনা সভায় যাচ্ছে বা তার মনে সামান্যতম দুঃখও আছে।’ আরেকটি প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ‘নির্লজ্জ করণ জোহর হাসছে। সে কি এই সভায় থাকার যোগ্য, নাকি ধর্মেন্দ্রর লাখো ভক্তকে বরং সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল?’ ক্ষুব্ধ এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এই ক্লাউনদের কোনও লজ্জা নেই। সে জানেই না কোথায় যাচ্ছে—ককটেল পার্টিতে, নাকি এমন এক মানুষের প্রার্থনা সভায় যাঁকে গোটা বিশ্বের লাখো ভক্ত ভালবাসতেন।”
