বলিউডের বহুল জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘তনু ওয়েডস মনু’–এর ভবিষ্যৎ আপাতত ঝুলে গেল আইনি টানাপোড়েনে। প্রযোজনা সংস্থা ইরোস ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া লিমিটেড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ফিল্মটির যাবতীয় মালিকানা তাদেরই—কোনও অংশীদারি নেই পরিচালক আনন্দ এল. রাইয়ের। ফলে বহুল প্রতীক্ষিত ‘তনু ওয়েডস মনু ৩’ এখন কার্যত অনিশ্চিত।

 

ইরোসের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে স্পষ্ট বলা হয়েছে—‘তনু ওয়েডস মনু’ (২০১১) এবং ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ (২০১৫)-এর সমস্ত নেগেটিভ রাইটস, স্বত্ব, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস, অ্যাডাপটেশন রাইটস এবং এক্সপ্লয়টেশন রাইটস তাদের হাতে চিরস্থায়ীভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এ অধিকার ইরোসের।

 

নোটিশে আরও অভিযোগ, অন্য পক্ষ অডিশন নিচ্ছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে, সেটি একেবারে বেআইনি। ইরোস জানিয়েছে, তারা নিজেরাই ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন অধ্যায় তৈরির প্রক্রিয়ায় আছে। অন্য কেউ এর সঙ্গে যুক্ত হলে তা আইনত অধিকার লঙ্ঘন হবে, আর সেই ক্ষেত্রে সংস্থা আইনি ব্যবস্থা নেবে।

 

এই টানাপোড়েনে হতাশ হয়েছেন ভক্তরা। কারণ তাঁদের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল পর্দায় আবারও একসঙ্গে দেখা কঙ্গনা রানাউত এবং আর. মাধবনকে। প্রথম ছবিতে তাঁদের অপ্রচলিত প্রেমকাহিনি, আর দ্বিতীয় ছবিতে কঙ্গনার ডাবল রোলে আবির্ভাব—সব মিলিয়ে দু’টি সিনেমাই হয়ে উঠেছিল দারুণ জনপ্রিয়। জিমি শেরগিল, দীপক ডোবরিয়াল, স্বরা ভাস্করের মতো অভিনেতারাও সেই ম্যাজিকের অংশ ছিলেন।

 

কিন্তু ইরোস যেহেতু নিজস্ব প্রযোজনায় ছবির নতুন কিস্তির পরিকল্পনা করছে, তাই বড় প্রশ্ন উঠছে—পরিচালক আনন্দ এল. রায় আদৌ যুক্ত থাকবেন কি না! না কি নতুন পরিচালক–প্রযোজনা সংস্থার অধীনেই তৈরি হবে পরবর্তী অধ্যায়?

 

ফলত আপাতত ‘তনু ওয়েডস মনু ৩’–এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। দর্শক অপেক্ষায়—আইনি জট কেটে আবারও কি মিলবে তনু আর মনুর প্রেমগাথা না কি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে এই জনপ্রিয় বলিউডি ফ্র্যাঞ্চাইজি?