বলি তারকা সইফ আলি খান এবার এমন এক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন, যা শুনে স্তব্ধ দর্শক, আর আবেগে ভেসে পড়লেন অভিনেত্রী কাজল। কাজল-টুইঙ্কলের টক শো ‘টু মাচ’–এর মঞ্চে নিজের জীবনের ভয়াবহ মুহূর্ত খোলাখুলি জানালেন সইফ।
সইফ জানান, গত জানুয়ারিতে এক অনাহূত অনুপ্রবেশকারী আচমকা তাঁর বাড়িতে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁকে ছ’বার এলোপাথাড়ি কোপায়। সেই সময় নিজের ছোট ছেলে জেহকে রক্ষা করতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সইফ। ওই ঘটনায় মারাত্মক আহত হন সইফ। অভিনেতার পায়ে গুরুতর চোট লাগে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, অবিলম্বে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি ভিত্তিতে গুরুতর অস্ত্রোপচার করতে হয় অভিনেতাকে।
ঘটনার সবচেয়ে হৃদয়বিদারক মুহূর্ত আসে যখন সইফকে চোখের সামনে ওরকম রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তৈমুর। সইফ জানান, তাঁর ছোট্ট ছেলে তৈমুর সেই সময় বাবাকে দেখে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করেছিল—“তুমি কি মরত চলেছ?”
এই প্রশ্ন শুনেই স্তব্ধ হয়ে যান সইফ।
অভিনেতার কথায়, ‘‘সেদিন বুঝেছিলাম জীবন কতটা নড়বড়ে, আর পরিবার কতটা দামি।’’

শো-তে যখন সইফ এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন, তখন পাশে বসা কাজল আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। আবেগে চোখ ভিজে যায় তাঁর, আর তিনি উঠে গিয়ে সইফকে জড়িয়ে ধরেন। মুহূর্তটি এতটাই আন্তরিক ছিল যে, দর্শক থেকে শুরু করে শোয়ে কাজলের সহ- সঞ্চালিকা টুইঙ্কল খান্না সহ সকলে চুপ করে যান এক লহমায়।
সইফ আরও জানান, তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন কারণ ওই ঘটনার পর আজও প্রায় অক্ষত অবস্থায় বেঁচে আছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যা ঘটেছিল তা সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। কিন্তু আমি এটাকে জীবনের বড় শিক্ষা হিসেবে দেখি। পরিবারের গুরুত্ব, প্রতিটি মুহূর্তের মূল্য তখনই গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি।’’
এই ঘটনাই উঠে আসছে টক শো ‘টু মাচ’–এর নতুন পর্বে, যেখানে কাজল এবং টুইঙ্কল খন্না সঞ্চালক। পর্বটি সম্প্রচারিত হওয়ার পর দর্শকেরা এই পুরো অভিজ্ঞতার কথা সরাসরি সইফের মুখেই শুনতে পাবেন।
সইফ আলি খানের এই স্বীকারোক্তি বলিউডে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নবাব পরিবারের এই ঝড়ের অভিজ্ঞতা শোনার পর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনুরাগীরা এখনও শিহরিত।
