কলকাতা ছেড়ে মেঘালয় পাড়ি জিতু কামালের? বাড়িঘর, কাজ ছেড়ে দূরে পাড়ি দিলেন অভিনেতা? তাঁর সাম্প্রতিক পোস্ট দেখে মনে এমন প্রশ্ন জাগলে ভুল হবে না। বুধ-সকালে তিনি লেখেন, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে মেঘালয় তে এসে থাকতে শুরু করি।তারপর আর কলকাতা যাওয়া হয় নি।
প্রথমে খুব টেনশন হচ্ছিল।এখানে সব পাওয়া যাবে তো!
টেকনিশিয়ান স্টুডিও পাবো কিনা!
হলুদ ট্যাক্সি পাবো কিনা!
মেট্রো রেল পাবো কিনা!
ওলা-উবার পাওয়া যাবে কিনা!
সাউথ সিটি পাবো কিনা!
দুর্গাপূজার সেই আনন্দ পাবো কিনা!
জম্যাটো ও সুইগি-জিনি এগুলো অ্যাভেলেবেল কিনা!
হইচইতে গৃহপ্রবেশ স্ট্রিমিং হচ্ছে,সেটা দেখতে পাবো কিনা!
কলকাতার মতো লবিবাজি আছে তো!
ওমা এখানে দেখছি সবই পাওয়া যায়।
মেঘালয়, এখন কলকাতারই মতন।
তবুও তুমি তো আমার প্রথম প্রেম।বলো।
মিস ইউ কোলকাতা
(পোস্টদাতার বানান অপরিবর্তিত রাখা হল)

জিতুর এহেন পোস্ট দেখে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছেন অনেকেই। ভেবেছেন, অভিনেতা বুঝি সত্যি কলকাতা ছেড়ে মেঘালয়ে চলে গেলেন! তবে রহস্যের উদঘাটন করলেন তাঁর অনুরাগীরাই। নিমেষে ধরে ফেললেন জিতুর রসিকতা। অভিনেতা আসলে কোথাও যাননি। তিনি রয়েছেন তাঁর প্রাণের শহরেই। সকাল থেকে একটানা বৃষ্টির কবলে ছিল শহর। চলতি বছরেও বারবার ভেসেছে কলকাতা। তাই খানিক ব্যঙ্গ করে কলকাতাকে মেঘালয়ের তকমা দিয়েছেন। আর তা দেখেই হেসে লুটোপুটি তাঁর অনুরাগীরা।

স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় এই পোস্টে কলকাতায় থাকার সুযোগ-সুবিধাকে জিতু যেমন তালিকাবদ্ধ করেছেন, ঠিক তেমনই  ‘লবিবাজি’র কথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি। এ কি নিছকই রসিকতা নাকি ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীদের খোঁচা? প্রশ্ন রয়েই যায়।

নতুন বাংলা ছবি ‘এরাও মানুষ-দ্য সার্চ উইদিন’-এর কাজ শুরু করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা। নিজেই ফেসবুকে একাধিক ফটো এবং চিত্রনাট্যের ছবি পোস্ট করে নতুন ছবির কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। নিজের পোস্টে জিতু লিখেছেন, 'নতুন যাত্রা, নতুন শুরু, নতুন আমি। দর্শককে ধন্যবাদ, মহাবিশ্বকে ধন্যবাদ, জয় মহাদেব।'


চিত্রনাট্যের প্রথম পাতার যে ছবি জিতু পোস্ট করছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, ছবির দুই পরিচালক অমিত তালুকদার এবং সাই প্রকাশ লাহিড়ি। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন বিপাশা লাহিড়ি। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে জিতুর বিপরীতে থাকবেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ফলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জুটি বাঁধতে দেখা যাবে জিতু এবং শ্রাবন্তীকে।

চলতি বছরের ভালবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছিল জিতু-শ্রাবন্তী অভিনীত ‘বাবুসোনা’। হালকা মেজাজের সেই রমকম যদিও দর্শকের মন জয় করতে পারেনি। মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। তবে নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হয়েছিল বিস্তর। টলিপাড়ায় গুঞ্জন ছিল, একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন জিতু-শ্রাবন্তী। তাঁরা যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। নিজেদের রসায়নকে দিয়েছিলেন বন্ধুত্বের তকমা।