এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জয়া বচ্চন বলেছিলেন, ছেলে অভিষেক বচ্চন ও মেয়ে শ্বেতা বচ্চন-নন্দাকে শৈশবে কড়া শাসনে রাখতেন তিনি। তবে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ক্ষেত্রে কখনও সেই কঠোরতা প্রয়োগ করেননি। তবে শৃঙ্খলার প্রতি তাঁর দৃঢ় বিশ্বাসের কথা সকলের বরাবরই জানা। নতুন এক সাক্ষাৎকারে জয়া আরও বিস্তারিতভাবে জানালেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, স্বামী অমিতাভ বচ্চনের মধ্যে এই গুণটিই সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে তাঁকে।
জয়া বলেন, “ওঁর (অমিতাভ বচ্চন) মধ্যে সবচেয়ে ভাল লাগে ওঁর নিয়মানুবর্তিতা।” নিয়মানুবর্তীতা সম্পর্কে নিজের কঠোরতার প্রসঙ্গ তুলে জয়া আরও জানান, “আমি সত্যিই খুব কঠোর মা ছিলাম।”

সন্তানরা ছোটবেলায় তাঁকে ভয় পেত কি না—এই প্রশ্নে জয়ার সহজ উত্তর, “অবশ্যই। যদিও আজকের প্রজন্মে এ কথা বলা হয়তো ঠিক মানাবে না, কিন্তু কখনও কখনও ছোটরা সীমা ছাড়ালে একচোট বকাঝকা বা একটা চড়ও দরকার হয়। এতে তারা বুঝতে পারে—ভুল করেছি, তাই শাস্তি পেয়েছি। তবে অতিরিক্ততার পক্ষপাতী নই।”

জয়া বলেন, “শিশুদের সব কিছু শিখিয়ে দিতে হয়। আমি অনেক সময় জনসমাগমে বাচ্চাদের এমন আচরণ দেখি, তখন খুব ইচ্ছা করে বলি—‘এদিকে এসো, ঠিকমতো বসো, এমন আচরণ করা যায় না।’ কখনও কখনও সত্যিই মনে হয় গিয়ে ধরে বসিয়ে দিই। আমি ঠিক সেই ধরনের মা ছিলাম।”

জয়ার এই মন্তব্য নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন লিখেছেন, ‘ওঁদের প্রজন্মটাই সবচেয়ে সুন্দর করে সন্তান বড় করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, মানুষ এখন আর জানে না কীভাবে সম্মান দিতে হয়। উনি যেভাবে ওঁর সন্তান আর নাতি-নাতনিদের বড় করেছেন, সেটা দেখে গর্ব হয়।’ অন্য একজন আবার ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, ‘জয়া বচ্চন পাগল হয়ে গিয়েছেন। উনি যদি মনে করে থাকেন বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে বা মেরে কাজ হয়, তা হলে উনি মা হিসাবে মোটেই ভাল নন। বাচ্চাদের ভালবাসা আর যত্ন দিয়ে বড় করা উচিত।’ জনৈক নেটিজেন যদিও জয়ার মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। লিখেছেন, ‘ওঁর সঙ্গে আমি সহমত। বাচ্চারা ঠিক-ভুল বোঝে না। ওদের শেখাতে হয়।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘আমিও অবাধ্য বাচ্চাদের দেখতে রেগে যাই। ওদের শুরু থেকেই সঠিত আচরণ শেখাতে হবে।’

আপাতত জয়া প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁর পরবর্তী ছবি ‘দিল কা দরওয়াজা খোল না ডার্লিং’এর জন্য। বিকাশ বেহল পরিচালিত এই রোমান্টিক কমেডিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী এবং ওয়ামিকা গাব্বি।