সংবাদ সংস্থা মুম্বই: তাঁদের বিয়ের বয়স মাত্র চার বছর। এর মধ্যেই যুজবেন্দ্র চহাল এবং ধনশ্রী বর্মার বিচ্ছেদ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, আইনিভাবে আলাদা হওয়ার পথে নাকি হাঁটা শুরু করে দিয়েছেন এই দু'জন। দেখা গিয়েছে, সমাজমাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে সব ছবি মুছে দিয়েছেন চহাল। দু’জনেই একে অপরকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, ধনশ্রী কিন্তু এরকম কিছুই করেননি। স্বামীর সঙ্গে নিজের বেশ কিছু ছবি রেখে দিয়েছেন তাঁর অ্যাকাউন্টে। এবং এখনও তা দিব্যি দেখাও যাচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, বিচ্ছেদ নাকি অবশ্যম্ভাবী এই দম্পতির ক্ষেত্রে।
অবশ্য ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সম্প্রতি করা চহলের একটি পোস্ট ধনশ্রীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে। চহাল যা লিখেছেন, তার অর্থ ‘‘কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে আলোকিত করে। আপনি নিজের যাত্রা জানেন, নিজের কষ্ট জানেন। যেখানে পৌঁছেছেন, সেখানে পৌঁছনোর জন্য কী কী করতে হয়েছে জানেন। গোটা বিশ্বও জানে। সোজা ভাবে দাঁড়ানো উচিত। আপনি আপনার বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য প্রচুর ঘাম ঝরিয়ে পরিশ্রম করেছেন। এক জন গর্বিত ছেলের মতো শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান।’’ মা-বাবার পাশে দাঁড়ানোর কথা লিখলেও স্ত্রী-র পাশে দাঁড়ানোর কোনও কিছু উল্লেখ নেই ভারতীয় ক্রিকেটারের এই পোস্টে। সেই সূত্র আরও জানিয়েছে, গত মাস তিনেক ধরে নাকি পরস্পরের থেকে আলাদাভাবে থাকতে শুরু করে দিয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল এবং ধনশ্রী। পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের দিকেই এগোচ্ছেন তাঁরা। যদিও এখনও চহাল বা ধনশ্রী কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি।
উল্লেখ্য, করোনার সময় অনলাইনে নাচ শিখতে গিয়ে দু’জনের আলাপ। নৃত্য-নির্দেশক ধনশ্রী আসলে চহালের নাচের প্রশিক্ষক ছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ৮ অগস্ট চহলের সঙ্গে আংটিবদলের অনুষ্ঠান হয় ধনশ্রীর। কয়েক মাস পর ২২ ডিসেম্বর গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে চহাল বিয়ে করেন ধনশ্রীকে।
