হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান তাঁর সবথেকে কাছের মানুষকে হারালেন। অভিনেতার প্রাক্তন শাশুড়ি, অর্থাৎ সুজান খানের মা জারিন খান এদিন না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। 

হৃতিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রেমিক, সন্তান এবং পরিবারকে নিয়ে একটু একটু করে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছিলেন সুজান খান। আর তার মধ্যেই এমন দুর্ঘটনা ঘটলে। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বাড়িতেই জারিন খান ৭ নভেম্বর সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এদিন প্রয়াত হন বর্ষীয়ান, প্রাক্তন অভিনেত্রী। তাঁর পরিবারে থেকে গেলেন তাঁর স্বামী সঞ্জয় খান এবং ৪ সন্তান, সুজান খান সিমোন আরোরা, ফারাহ আলি খান এবং জায়েদ খান। 

জারিন খান ১৯৬০ এর দশক থেকে ১৯৭০ এর গোড়ার দিক পর্যন্ত চুটিয়ে অভিনয় এবং মডেলিং করেছেন। তিনি কাজ করেছেন 'এক ফুল দো মালি', 'তেরে ঘর কে সামনে', ইত্যাদি ছবিতে। কেবল, অভিনয় বা মডেলিং নয়। জারিন খান বইও লিখেছেন। অন্দরসজ্জা শিল্পীও ছিলেন তিনি। জারিন ১৯৬৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ প্রযোজক, পরিচালক সঞ্জয় খানের সঙ্গে। বিয়ের আগে তাঁর পদবী ছিল কর্তক। পার্সি পরিবারের মেয়ে জারিন খান সঞ্জয়দের পড়শি ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরা একে অন্যের প্রেমে পড়েন, এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ ঘটে। একটা সময় প্রচার, খ্যাতির আলোয় থাকলেও, আচমকাই সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন জারিন খান। 

চলতি বছরের জুলাই মাসে মায়ের ৮১ তম জন্মদিনে একটি আদুরে বার্তা লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সুজান খান। 'মামসি'-কে 'স্ট্রং ওম্যান' বলেও সেই পোস্ট লেখেন তিনি। সুজান তাঁর সেই পোস্টে আরও লিখেছিলেন, 'আমি গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ তোমার ছোট্ট মেয়েটি হওয়ার জন্য। ইউনিভার্স যেন তোমায় সবসময় রক্ষা করে। এভাবেই সবার মুখে হাসি ফোটাতে থাকো। ভালবাসতে থাকো। এই বছরটা খুব ভাল কাটুক তোমার।' কিন্তু সুজানের সেই ইচ্ছে পূরণ হল না। হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী মাঝে মধ্যেই জানাতেন তিনি তাঁর মায়ের দ্বারা কতটা প্রভাবিত। এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভাল, হৃতিক রোশন এবং সুজান খান তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানলেও, অভিনেতা কিন্তু তাঁর প্রাক্তন শাশুড়িকে 'মা' বলেই ডাকতেন।

জানা গিয়েছে রকুলপ্রীত সিং, জ্যাকি ভাগনানি, প্রমুখ সঞ্জয় খানের বাড়িতে এসেছেন জারিন খানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।