হর্ষ ছায়া ও শেফালি শাহের বিচ্ছেদ নিয়ে ২০০০ সালে তুমুল চর্চা হয়েছিল। প্রায় ছ’বছরের দাম্পত্যের পর আলাদা হয়ে যান এই অভিনেতা দম্পতি। দীর্ঘদিন পর ফের সেই প্রসঙ্গ ঘিরে আলোচনায় হর্ষ। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর একটি রহস্যময় পোস্ট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হলেও নেটদুনিয়ায় তার স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। বহু নেটিজেনের অনুমান, ওই পোস্টে হর্ষ ইঙ্গিত করেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী শেফালিকেই।

ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ লেখায় হর্ষ এমন এক অভিনেতা দম্পতির কথা উল্লেখ করেন, যাঁদের বিচ্ছেদ ঘটেছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে, যা সেই সময়ে বড় খবর হয়েছিল। তিনি লেখেন, সময়ের সঙ্গে তাঁদের মধ্যে একজন সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। কিন্তু অন্য জন আজও যেন সুযোগ পেলেই সেই সম্পর্কের তিক্ততার কথা প্রকাশ্যে আনতে প্রস্তুত থাকেন।

হর্ষ লেখেন, ‘২৫-৩০ বছর আগে এক অভিনেতা দম্পতির ডিভোর্স হয়েছিল। তখন তা বড় খবর ছিল। সময়ের সঙ্গে একজন এ নিয়ে আর কোনও কথা বলতে চান না, বিষয়টাকে শেষ বলে মেনে নিয়ে এগিয়ে যান। কিন্তু তিনি (অভিনেত্রী) যেন অপেক্ষায় থাকেন, নতুন কোনও ছবি মুক্তি হোক বা হাতে মাইক আসুক, সুযোগ পেলেই তিনি জানান সেই সম্পর্ক কতটা খারাপ ছিল, এত বছর পরেও।’

এখানেই থামেননি হর্ষ। একই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি ওই অভিনেত্রী এক বাঙালি মহিলা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সময় তাঁকে জানিয়েছেন যে তা, র প্রাক্তন স্বামী নাকি তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এই কথা সেই পরিচালিকা জানান, অভিনেতা দম্পতির এক পুরনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে, যিনি বিচ্ছেদের যাবতীয় ঘটনা জানতেন। সেই বন্ধু নাকি পরিচালিকাকে বলেন, অভিনেত্রীর দাবি মিথ্যা। কারণ বাস্তবে সেই অভিনেত্রী অন্য এক পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং সেই কারণেই দাম্পত্য ভেঙে যায়।

হর্ষ আরও দাবি করেন, এত বছর পরেও ওই অভিনেত্রী একই গল্প বলে চলেছেন। এক সময় প্রাক্তন স্বামীর অনুরোধে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এই বিষয়ে নীরব থাকলেও, এখন তাঁদের কাছে বিষয়টি বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। তাঁর মতে, আজ অনেকেই বিষয়টিকে হাস্যকর বলেই দেখছেন, কারণ তাঁরা ঘটনার অন্য দিকটিও জানেন।

এই পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এক ব্যবহারকারী এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ হর্ষের পোস্টটি শেয়ার করে প্রশ্ন তোলেন, তিনি কি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী শেফালি শাহের কথাই বলছেন? উল্লেখ্য, শেফালি বর্তমানে পরিচালক-প্রযোজক বিপুল শাহের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। বহু নেটিজেনই সেই জল্পনায় সায় দেন।

একজন লেখেন, ‘২৫ বছর পরেও শেফালি ডিভোর্সের কথা বলে চলেছেন। শক্তিশালী নারী হওয়ার গল্প বানানোর জন্যই কি এসব? তাঁর প্রাক্তন স্বামী যদি তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তখন তিনি কী বলবেন?’
হর্ষ বা শেফালি, কেউই যদিও এখনও সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করে এই বিতর্কে মুখ খোলেননি। তবু পুরনো সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে এই পোস্ট নতুন করে চর্চা উস্কে দিয়েছে বলেই মনে করছে নেটমাধ্যম।