দিন কয়েক আগেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জনে উত্তাল ছিল বলিউড। তার মাঝেই গোবিন্দা এবারের করওয়া চৌথ তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজার জন্য করে তুললেন আরও বিশেষ। অভিনেতা তাঁর স্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন এক বিশাল, বহুস্তরবিশিষ্ট সোনার হার। নতুন গয়না পরে সুনীতা হাসিমুখে ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। এবং লিখেছেন, ‘আমার করওয়া চৌথের গিফট এসে গিয়েছে।’ বিতর্কের মরশুমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। অনুরাগীরা দম্পতিকে বলিউডের ‘সেরা জুটি’ বলে প্রশংসা করেছেন এবং গোবিন্দার রাজকীয় উপহারকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
সুনীতা শুক্রবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দু’টি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে দেখা যায়, তিনি গলায় নতুন সোনার হার পরে হাসি মুখে পোজ দিচ্ছেন। স্বামীর কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেয়ে যে তিনি যারপরনাই খুশি, তা আর বলে দিতে হয় না।
সুনীতার পোস্টে তাঁকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা। এক জন লেখেন, ‘সোনা পরেছেন সোনা’। অন্য একজনের মন্তব্য, ‘আপনারাই সেরা জুটি’। কেউ আবার জিজ্ঞেস করেছেন, ‘এটা কি আসল সোনা?’ এক নেটিজেন প্রশংসা করে লেখেন, ‘আপনাকে অসাধারণ লাগছেন, ম্যাম।'
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">
View this post on Instagram
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Ssunita (@officialsunitaahuja)
কয়েক মাস আগেই গোবিন্দা এবং সুনীতাকে ঘিরে বিচ্ছেদের গুজব ছড়িয়েছিল। তবে আগস্ট মাসে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে তাঁরা একসঙ্গে প্রকাশ্যে এসে সব জল্পনাই থামিয়ে দেন। সেই সময় মুম্বইয়ের বাড়িতে গণপতি বাপ্পার আগমন উপলক্ষে পাপারাজ্জিদের মিষ্টি বিতরণ করতেও দেখা যায় তাঁদের।
মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে সুনীতা বলেছিলেন, “আজ মিডিয়ার মুখে চড় পড়েনি? আমাদের একসঙ্গে দেখে! আমরা এত কাছাকাছি আছি… যদি কিছু হতো, তাহলে আমরা এত ঘনিষ্ঠ থাকতাম? কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না। আমার গোবিন্দা শুধু আমারই।”
উল্লেখ্য, গোবিন্দা ও সুনীতা আহুজার প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল আটের দশকে। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৮৭ সালের ১১ মার্চ। দম্পতির দু’টি সন্তান রয়েছে– মেয়ে টিনা আহুজা এবং ছেলে যশবর্ধন আহুজা।
কয়েক মাস আগে শোনা গিয়েছিল, সুনীতা বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। গোবিন্দার স্ত্রী যদিও সে সব গুঞ্জন নস্যাৎ করে তাঁর এক ভ্লগে বলেছিলেন, “গোবিন্দার সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয়েছিল, আমি দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন আমি ওকে বিয়ে করি এবং একটি সুন্দর জীবন পাই। দেবী আমার সব ইচ্ছে পূর্ণ করেছেন—আশীর্বাদ হিসাবে আমাকে দু’টি সন্তানও দিয়েছেন। কিন্তু জীবনের সব সত্য সহজ নয়। উত্থান-পতন তো থাকবেই। তবুও দেবীর উপর আমার এত আস্থা যে আজ যা কিছু ঘটছে, আমি জানি যে যেই আমার সংসার ভাঙার চেষ্টা করুক না কেন, মা কালী আছেন।”