নিজস্ব সংবাদদাতা: মুক্তি পেল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ভৌতিক ওয়েব সিরিজ ‘ভোগ’-এর প্রথম ঝলক। আর এই ঝলক যে দর্শককে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার প্রস্তাব দেয়, তা স্পষ্ট এখনই। ‘ভোগ’ এর গল্প ঘুরপাক খায় আতিন (অনির্বাণ ভট্টাচার্য), যিনি ছিলেন এক যৌক্তিক, স্বচ্ছ মানসিকতার মানুষ। কিন্তু একদিন একটি অদ্ভুত পিতলের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে তার জীবন বদলে যায়। প্রথমে কৌতূহল—তারপর ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় এক ভয়ংকর, অবাধ্য অভ্যেসে। তার দিন-রাত হয়ে ওঠে এক বিভীষিকাময় পর্বে। আর এই অদ্ভুত মূর্তিকে সে ডাকতে শুরু করে... এক পবিত্র মন্ত্রের মতো “মা।” কিন্তু কে এই মা? ‘দেবী’ নাকি কোনো ভয়ঙ্কর ‘প্রেত’?
‘পর্ণশবরীর শাপ’ এবং ‘নিকষ ছায়া’-র পর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ফের ফিরছেন হরর গল্পের সিরিজে। তবে এবারে তাঁর নিবেদন এক মনস্তাত্ত্বিক হরর। এই নতুন সাসপেন্স হরর থ্রিলার ভোগ-এর গল্পে ধীরে ধীরে বিশ্বাস থেকে পাগলামির দিকে চলে যায় আতিনের মন। আর তার এই ‘ভোগ’-এর শিকার হতে হবে, এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতার মধ্যে।
পার্নো মিত্র-কে এখানে রহস্যে মোড়া এক ভূতুড়ে ভূমিকায় দেখা যাবে—তাঁর ঠাণ্ডা, ভয় উদ্রেককারী কণ্ঠে শোনা যাবে, “দাদাবাবু, ভোগ দেবেন না আমাকে?”—এমন এক প্রশ্ন যা বদ্ধ ঘরে একটি অভিশপ্ত হাহাকারের মতো পাক দিতে থাকে থাকে। আর গল্পের নিকষ আঁধার দিক আরও গভীর হতে থাকে। অনির্বাণ ও পার্নো ছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে রজতাভ দত্ত-কে।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “ ‘ভোগ’ শুধুই একটি হরর গল্প নয়—এটি শোকের মনস্তত্ত্বকে বোঝার চেষ্টা, যেখানে আবেগের আড়ালে বিশ্বাস আর পাগলামির সীমানা গুলিয়ে যায়। আমি চেয়েছি সেই নিঃশব্দ আতঙ্কটাকে তুলে ধরতে, যা বিশ্বাস এবং পাগলামির মাঝখানে লুকিয়ে থাকে।”
১লা মে থেকে হইচই-তে স্ট্রিম হবে ‘ভোগ’, আর এটি হবে তাদের সবচেয়ে ভীতিকর অভিজ্ঞতা। ভয়ের গল্প এবার পর্দায় নতুন রূপে হাজির।
