নিজস্ব সংবাদদাতা: টলিউড থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পরিচালক সুব্রত সেন! শনিবার রাতে সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্ট দেখে কৌতূহলের ছাপ পড়েছে সিনেপাড়ায়। তবে নিজের বক্তব্য পোস্টেই খোলসা করেছেন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত সেন।
তিনি লিখেছেন, 'অনেকে জানেন না। 'ফিল্মওয়ালা' আমার কোম্পানি নয়। ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়াকার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এ নিয়ে আমাকে অনেক কিছু বলেছে। ডিরেক্টর কী করে মালিক হয়?
সঙ্গত প্রশ্ন। ব্যাপারটা হচ্ছে, 'ফিল্মওয়ালা'র মালিক আমি নই। এটা একটি পার্টনারশিপ। সেটি আমাদের স্টুডিওতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সকলের। অনেকটা সমবায়ের মতো। আমাদের এখানে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা প্রত্যেকে মালিক, প্রত্যেকে মেম্বার। আট জন।'
তিনি আরও লেখেন, 'কিন্তু প্রশ্ন আমাকে নিয়ে। আমি নাকি ডিরেক্টর এবং মালিক। যা নাকি পরস্পরবিরোধী। ডিরেক্টর যদি মালিক হয় তা হলে কী হবে? এই প্রশ্ন যশ চোপড়া, রাজ কাপুর, দেব আনন্দ, স্পিলবার্গ, নোলান, সৃজিত মুখার্জি, অরিন্দম শীল, এদের বিরুদ্ধে না করে কেন আমারই বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা তাঁরাই বলবেন।
যাই হোক, আগামী ৩০ এপ্রিল, শুভ অক্ষয় তৃতীয়া থেকে আমি 'ফিল্মওয়ালা'তে আর থাকছি না। অন্তত 'মালিক' আর থাকছি না। সই-সাবুদের কাগজ রেডি হয়ে যাবে কাল পরশুর মধ্যে।
এর পর থেকে আমি মালিক নই, 'খোকা' হয়েই থাকব। এবার রিটায়ার করার সময় এসেছে। 'ফিল্মওয়ালা' থেকে শুধু নয়, ইন্ডাস্ট্রি থেকেই। অন্য কিছু করে নেব, এইটুকু বিদ্যেবুদ্ধি আছে। না খেতে পেয়ে মরব না, কারও কাছে হাতও পাততে হবে না।'
অভিমান থেকেই কি তবে টলিপাড়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত? আজকাল ডট ইন-কে সুব্রত সেন বলেন, "নাহ্, অভিমান নয়। সবকিছুর একটা বয়স আছে। আমার এখন ৬১। তাই এবার মনে হয় অবসর নেওয়ার পালা। তা ছাড়া সিদ্ধান্তটা অনেকদিন আগেই নিয়েছিলাম, এবার বাস্তবায়নের সময় এসেছে।" ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পদও ছাড়ছেন? "অবশ্যই! আর কিছুদিনের মধ্যেই সভাপতির মেয়াদ ফুরবে। তখন আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। এখন আমার বিনোদন জগৎ থেকে দূরে গিয়ে অবসরের সময়। হয়তো অনেক পরিচালকরা আজীবন কাজ করেছেন, কিন্তু আমার মনে হয়, এটাই নিজের জন্য সঠিক সময় সবকিছু থেকে সরে আসার।"
