দিলীপ কুমার তাঁর কাছে দাদার চেয়ে কোনও অংশে কম ছিলেন না। বাড়িতে ছিল নিত্য যাতায়াত। ইন্ডাস্টির দুই ভাইয়ের অটুট সম্পর্ক নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন সকলেই। আজ না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন‘ভাই’ ধর্মেন্দ্র। কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণে গভীর শোকাহত দিলীপ কুমারের স্ত্রী সায়রা বানু।
সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র। বলিউডের হি-ম্যানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। ভক্ত, সহ-অভিনেতা থেকে শুরু করে স্মৃতিচারণায় ভাসছেন সকলেই। আর এই খবর শোনার পরই চোখ ভিজে উঠেছে সায়রা বানুর। স্মৃতিচারণায় আবেগঘন হয়ে পড়েন তিনি।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন যে তাঁর হৃদয়ে যেন এক অসম্ভব শূন্যতা তৈরি হয়েছে। কারণ ধর্মেন্দ্র শুধুই সহ-অভিনেতা ছিলেন না, ছিলেন তাঁর পরিবারের একজন। তাঁর কথায়, “ধর্মেন্দ্রজি এমন মানুষ ছিলেন, যাঁকে একবার দেখলেই আপনি তাঁর আন্তরিকতা অনুভব করবেন। তিনি হাসলে মনে হতো যেন চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠল। এরকম মানুষ কখনও জন্মাবে না, কখনও পাবেন না।”
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বরাবরই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল ধর্মেন্দ্রর। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিনেতা হওয়ার অনুপ্রেরণাও যে দিলীপ কুমার, তাও বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি। এপ্রসঙ্গেই সায়রা বানু বলেন, “উনি দিলীপ কুমারকে বড় ভাই মনে করতেন। তাঁর প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন। তাঁরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন। সকাল হোক বা সন্ধে কিংবা রাত ২টো, দিলীপ কুমার আর ধর্মেন্দ্র পরিবারের মতো থাকতেন।”
সায়রা বানুরও কাছের মানুষ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। অভিনেত্রীর কথায়, “উনি আমারও খুব প্রিয় ছিলেন। কারণ উনি ভীষণ মাটির মানুষ ছিলেন। ওকে সবসময় ভালবাসব। কেউ ধর্মেন্দ্রর মতো হতে পারবে না।“
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর কয়েকদিন আগে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু সোমবার সকালে আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সকালে তাঁর জুহু বাসভবনে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে ও বের হতে দেখা যায়। যদিও পরিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি, তবুও দুপুরের শ্মশানঘাটে পৌঁছে যান মেয়ে ঈশা দেওল ও স্ত্রী হেমা মালিনী। এরপর একে একে দেখা যায় অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান ও সলমন খানকে। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ। তাঁর অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব আগামী প্রজন্মের কাছেও উদাহরণ হয়ে থাকবে-এমনটাই বিশ্বাস শিল্পী মহলের।
