মাত্র ১৫ দিন পরই ৯০ বছরে পা রাখতেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তার আগে সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বলিউডের হি-ম্যান। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। ভক্ত, সহ-অভিনেতা থেকে শুরু করে নবীন শিল্পীরাও স্মৃতিচারণায় ভাসছেন। শোকপ্রকাশ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। 

বর্ষীয়ান অভিনেতাকে নিয়ে স্মৃতিতে ডুব দেন অভিনেত্রী। আজকাল ডট ইন-কে তিনি বলেন, “উনি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির স্তম্ভ, অনেক বড় মাপের একজন অভিনেতা। ওনার কমিক টাইমিং, বিনোদনের দক্ষতা ছিল অসাধারণ। আজ সত্যি নক্ষত্রপতন হল।”


ঋতুপর্ণার কথায় উঠে এসেছে ব্যক্তিগত স্মৃতিও। কীভাবে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়, জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “‘মোহিনী’ ছবিতে কাজ করার সময়ে ওনার সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিল। হেমাজি আমাকে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর আরও অনেক অনুষ্ঠানে দেখা হয়। খুবই হাসিখুশি ব্যক্তিত্ব, খুব মজার মানুষ ছিলেন।”


জীবনের শেষ অধ্যায়ে বেশ কয়েকটি অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক মন ছুঁয়ে গিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণার সংযোজন, “ওনার এক অদ্ভুত জীবনীশক্তি ছিল বলে আমার মনে হয়। যার জন্য হয়েতো উনি এত বয়সে এসেও মনে রাখার মতো কাজ করে গিয়েছেন। সম্প্রতি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’, ‘মেট্রো ইন দিনো’-র মতো ছবিতে তাঁকে এত সাবলীলভাবে পেয়েছেন দর্শকেরা।” যদিও ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে তাঁর প্রিয় ছবির তালিকায় রয়েছে, ‘চুপকে চুপকে’, ‘শোলে’, ‘ড্রিম গার্ল’-এর আরও স্বর্ণযুগের ছবি।
 
অভিনেতার মৃত্যু ভারতীয় সিনেমার এক যুগের অবসান ঘটিয়েছে, উল্লেখ করেন ঋতুপর্ণা। আবেগঘন হয়ে তিনি বলেন, “ওনার চলে যাওয়া আমাদের কাছে খুবই দুঃখের। কিন্তু উনি যে সম্মান রেখে গেলেন তা অনস্বীকার্য। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে দারুণ সময় দিয়ে গেলেন। যেখানেই থাকুন, শান্তিতে থাকুন। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। স্যালুট, কুর্নিশ।” 

প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর কয়েকদিন আগে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু সোমবার সকালে আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সকালে তাঁর জুহু বাসভবনে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে ও বের হতে দেখা যায়। যদিও পরিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি, তবুও দুপুরের শ্মশানঘাটে পৌঁছে যান মেয়ে ঈশা দেওল ও স্ত্রী হেমা মালিনী। এরপর একে একে দেখা যায় অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান ও সলমন খানকে। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ। তাঁর অভিনয় ও ব্যক্তিত্ব আগামী প্রজন্মের কাছেও উদাহরণ হয়ে থাকবে-এমনটাই বিশ্বাস শিল্পী মহলের।