বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে ঘিরে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওয় দেখা যায়, মুম্বইয়ে তাঁর বাসভবনের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপরই অভিনেতার শারীরিক অবস্থাকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়।

এর আগে চলতি মাসেই ৮৯ বছর বয়সি ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে তাঁর মেয়ে এষা দেওল এবং স্ত্রী হেমা মালিনী দ্রুতই সেই খবরকে ভুয়ো বলে ঘোষণা করেন এবং জানান, ধর্মেন্দ্র স্থিতিশীল আছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।

ইনস্টাগ্রামে এষা লিখেছেন, ‘মিডিয়া কোনও যাচাই-বাছাই না করেই ভুল খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল আছেন এবং সুস্থতার পথে। অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। বাবার দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা স্বস্তিতে।’

হেমা মালিনীও এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এভাবে ভুল খবর ছড়ানো একেবারেই অমার্জনীয়! এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বহীন আচরণ। অনুরোধ, পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।’

চলতি মাসের শুরুতে ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন জানা গিয়েছিল, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং কিছু সময়ের জন্য ভেন্টিলেটর সাপোর্টও দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহরুখ খান, আরিয়ান খান, সলমন খানের মতো তারকারা ছুটে গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে।

১২ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁকে দেখতে এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অনিল শর্মা, গুড্ডু ধানোয়া প্রমুখ। হেমা মালিনীও স্বামী বাড়ি ফেরায় খানিক স্বস্তিতে ছিলেন। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘সময়টা আমার জন্য মোটেই সহজ ছিল না। ধরমজির স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই খুবই উদ্বেগে ছিলাম। ওঁর ছেলেমেয়েরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। কিন্তু আমার তো দুর্বল হওয়ার, ভেঙে পড়ার জো ছিল না। আমার কাঁধেই তো অনেক দায়িত্ব। কিন্তু হ্যাঁ, আমি এখন খুশি যে উনি বাড়ি ফির এসেছেন। আমরা স্বস্তিতে রয়েছি যে উনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ওঁর আপনজন, ভালবাসার মানুষদের কাছে থাকা প্রয়োজন এখন। বাকি সব কিছু তো এখন উপরওয়ালার হাতে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।’