'তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান', ১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির সেটেই শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেম কাহিনি। কাদের? বলিউডের 'ড্রিম গার্ল' এবং 'হি-ম্যান' -এর। উক্ত ছবির সেটেই রিল লাইফ প্রেম রিয়েল লাইফে পরিবর্তিত হয়। সেই সময় ধর্মেন্দ্র বিবাহিত। প্রকাশ কৌরের সঙ্গে সংসার করছেন। সানি, ববি দুজনেই ছোট। তারপরেও হেমার সঙ্গে আলাপের পর কিছু একটা বদলে যায়। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক হলেও নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না ধর্মেন্দ্র। জড়িয়ে পড়েন হেমা মালিনীর সঙ্গে। একে অন্যকে মন দিয়ে বসেন। 

যদিও শোনা যায়, হেমা প্রথম দিকে ধর্মেন্দ্রর থেকে দূরত্ব রেখেই চলতেন। অভিনেতার জীবনে দ্বিতীয় মহিলা হওয়ার ইচ্ছে ছিল না তাঁর। কিন্তু ভাগ্যের হয়তো অন্য কিছুই ইচ্ছে ছিল। তাঁদের অনস্ক্রিন প্রেম অফস্ক্রিনেও বাড়তে থাকে। তবে হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রর এই সম্পর্কের কথা জেনে 'ড্রিম গার্ল'-এর বাবা কিছুতেই মেনে নেন না। একজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে! সেই সময় প্রকাশ কৌর ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু তারপরেও কিছুই থামাতে পারেনি দুজনকে। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এক হন তাঁরা।

১৯৭৯ সালে ধর্মেন্দ্র এবং হেমা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন স্রেফ একে অন্যকে বিয়ে করবেন বলে। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী তখনও তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে রাজি হন না। এরপরই ধর্ম বদলে ধর্মেন্দ্র দিলওয়ার খান এবং হেমা মালিনী আয়েশা বি আর চক্রবর্তী হন। ১৯৭৯ সালের ২১ অগস্ট গোপনে নিকাহ সারেন দুজনে। তাঁদের বিয়েটা অত্যন্ত গোপনে হয়েছিল, কেবল দুজন সাক্ষী ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, হেমা মালিনী তাঁর বইতে জানিয়েছেন, একবার নিতান্ত বিরক্ত হয়ে ডিম্পল কাপাডিয়া হেমা মালিনীকে বলেছিলেন যে ধর্মেন্দ্র নাকি তাঁকে কখনই বিয়ে করবেন না। ডিম্পল কাপাডিয়া যখন রাজেশ খান্নার সঙ্গে প্রেম করছেন, সেই সময় প্রয়াত অভিনেতা শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন সারাদিন। বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিতেন, মদ খেতেন। কোনও সঙ্গী ছিল তাঁর। ফলে চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় ডিম্পল কাপাডিয়া। অন্যদিকে হেমা মালিনী নিজেও একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ধর্মেন্দ্র ততদিনে বিবাহিত। যদিও হেমা এবং ধর্মেন্দ্রর সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছিল। এমন সময়ই হতাশা, বিরক্তি থেকেই ডিম্পল হেমাকে বলেছিলেন, 'দেখো এই লোকটা তোমায় কখনও, কোনওদিন বিয়ে করবে না। তুমি বরং বসে ঠান্ডা মাথায় ভাব যে এটা নিয়ে কী করবে।' 

প্রসঙ্গত বিগত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্মেন্দ্র। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি। মাঝে রটে গিয়েছিল তাঁর মৃত্যুর খবর। তবে হেমা মালিনী এবং এষা দেওল জানিয়েছেন অভিনেতার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। শাহরুখ খান থেকে শুরু করে সলমন খান, গোবিন্দা সহ অনেকেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন।