'চিরসখা' ধারাবাহিকের গল্পে আসছে নতুন চমক। গোটা পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পথেই অঘটন ঘটে। ডাকাতরা মিঠিকে তুলে নিয়ে যায় সবার মধ্য দিয়ে। যদিও তাকে মাত্র একদিনের মধ্যে উদ্ধার করে বাড়ি ফিরিয়েও আনা হয়। কিন্তু তার মধ্যেই কি যা বিপদ হওয়ার হয়ে গিয়েছে? তেমনই ইঙ্গিত দিল এই ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো। 

এদিন চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে 'চিরসখা'র যে প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মিঠি একাকী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিজেকে নিজেই ঘৃণা করছে। বলছে, এটা কী ঘটে গেল তাঁর সঙ্গে, কেনই বা ঘটল। যদিও পর মুহুর্তেই সে আবার নিজেকে বোঝায়, যা ঘটেছে তাতে তার কোনও দোষ নেই। অন্যদিকে কমলিনী স্বতন্ত্রের কাছে যায়, জানায় মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে হবে। জবাবে স্বতন্ত্র কৃষাণুর কথা বললে, কমলিনী সোজাসুজি জানিয়ে দেয় তাকে দিয়ে হবে না, কারণ মিঠিকে গাইনোকলজিস্ট দেখানো জরুরি, কারণ একটা রাত সে পাষণ্ড অর্থাৎ সেই ডাকাতগুলোর সঙ্গে ছিল। কমলিনী এও জানায় যে তার মন কু গাইছে, ভাল ঠেকছে না তার। মনের এই অবস্থার সঙ্গে মিঠি কী করে লড়াই করবে, সেটাই এখন দেখার।

অন্যদিকে আরেকটা প্রোমোতে দেখা যায় কৃষাণুকে মিঠি বলছে, সব শেষ হয়ে গেল। যদিও কৃষাণু তার কথায় বুঝিয়ে দেয় যাই ঘটুক না কেন সে মিঠির হাত ছাড়বে না। এই বিপদে পাশে থাকবে। অন্যদিকে মিঠির পিসেমশাই জানায় সে তার সমস্ত সোর্স কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতিদের খুঁজে বের করবে যেভাবেই হোক, সর্বোচ্চ শাস্তিও দেবে। এখন এটাই দেখার পালা যে গল্পের মোড় কোন দিকে ঘোরে, কার চক্রান্তে মিঠিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতরা, কী হয় মিঠি কৃষাণুর সম্পর্কের পরিণতি। যদিও কৃষাণু যে ভয় পেয়েছিল মিঠির পাচার হয়ে যওয়ার তা ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই 'চিরসখা' ধারাবাহিকটি তার গল্পের জোরে দর্শকদের নজর কেড়েছে। মাঝে কিছু সপ্তাহ টিআরপি তালিকায় সেরা পাঁচে নিজের জায়গা ধরে রাখলেও, সম্প্রতি নম্বর এবং স্থান অনেকটাই কমেছে। যদিও সেরা ১০ -এ এখনও রয়েছে এই ধারাবাহিক। স্টার জলসার পর্দায় রোজ রাত ৯ টা নাগাদ সম্প্রচারিত হয়। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অপরাজিতা ঘোষ দাস এবং সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তবে এবার গল্পে নতুন যে টুইস্ট আনল তাতে 'চিরসখা' ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।