ছোটপর্দা পেরিয়ে বড়পর্দায় 'বামাক্ষ্যাপা' রূপে ধরা দিতে চলেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ছোটপর্দায় এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন কেড়েছিলেন সব্যসাচী। সেই জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই 'সাধক বামাক্ষ্যাপা' হয়ে ফিরছেন তিনি। ছবির পরিচালনায় সায়ন্তন ঘোষাল। 

 

এই ছবিতে দেখা যেতে চলেছে ছোট্ট অভিনেত্রী রাধিকা কর্মকারকে। গল্পে 'তারা'র এক রূপ হিসেবে দেখা যাবে তাকে। রাধিকাকে দর্শক ছোটপর্দায় দেখেছেন। কিছুদিন আগে 'দুগ্গামণি ও বাঘমামা'য় অভিনয় করে দর্শক মহলে দারুণ পরিচিতি পেয়েছিল সে। এই একরত্তি সমাজমাধ্যমেও দারুণ পরিচিত। এবার রাধিকাকে দেখা যেতে চলেছে বড়পর্দায়। সায়ন্তনের পরিচালনায় ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে তার দৃশ্যের শুটিং। 

 


প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিক সাক্ষাত্‍কারে সব্যসাচী বলেছেন, যখনই তিনি সাধক বামাক্ষ্যাপার লাল বসন পরেন, তখনই যেন নিজের মধ্যে একটা শক্তি অনুভব করেন। ২০২২ সালে এই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার সময় সেই লাল বসন ও ত্রিশূল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন সব্যসাচী। এবার সেই বসনেই ফিরছেন অভিনেতা। 'বামাক্ষ্যাপা'র পর 'রামপ্রসাদ'-এর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবুও 'বামাক্ষ্যাপা' রূপেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ছোটপর্দায় 'তারা'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নবনীতা দাস। এবার বড়পর্দায় এই চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পায়েল দেকে। বামাক্ষ্যাপার বাবার চরিত্রে দেখা যাবে সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে। বছরের শুরুতেই প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর তরফে সেই ঘোষণা করা হয়েছিল। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। 

 

 

জানা যাচ্ছে, এখন জোরকদমে শুটিং চলছে এই ছবির। প্রায় শেষের পথেই সায়ন্তনের এই ছবি। সূত্রের খবর, ১৫০ বছর আগের তারাপীঠকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন পরিচালক। তাই ফ্লোরেই তৈরি হয়েছে সেই তারাপীঠ। নিখুঁত কারুকার্যে সেই সেট থেকে চোখ ফেরানো দায়। বোলপুর, সিউড়ির বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে ছবির শুটিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরেই মুক্তির অপেক্ষায় এই ছবি।