ফ্যামিলি ড্রামা, রোম্যান্স তো অনেক হল, এবার হাড় হিম হওয়ার পালা। আসছে এক অলৌকিক গল্পের উপর তৈরি ছবি। সঙ্গে রয়েছেন টলিপাড়ার একঝাঁক তারকা। ছবির নাম 'কালহা'। এই ছবিটি হতে চলেছে এক শিহরণ জাগানো বাংলা হরর-থ্রিলার, যা সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি। পরিচালনায় অয়ন আচার্য।‌ছবিটির প্রযোজনায় মুখার্জি ফিল্মস,জয়দেব হালদার, সুশান্ত নস্কর ও অয়ন আচার্য।

 

 

 

 

 

ছবির গল্পে দীর্ঘদিনের দুঃসময়ের পর উজান তার পরিবারকে নিয়ে ফিরে আসে শহরের বাইরে পাহাড়ি অঞ্চলের পুরনো বাড়িতে। নতুন জীবনের শুরু ভেবে আসা এই যাত্রা দ্রুতই রূপ নেয় এক দুঃস্বপ্নে, যখন তাদের চারপাশে ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ঙ্কর ও অজানা ঘটনা।

 

 

 

ক্রমে প্রকাশ পায় এক অন্ধকার অতীত। উজানকে মুখোমুখি হতে হয় এক অশুভ শক্তির, যা তাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাকে লড়তে হয় এক অভিশাপের বিরুদ্ধে, যে অভিশাপ মৃত্যুর পরও শেষ হয় না। কী হবে তারপর? উত্তর মিলবে ছবির গল্পে। 

 

 

 

 

 

হলিউড-স্টাইল সেট ডিজাইন, সিনেমাটোগ্রাফির মিশেলে নির্মিত এই ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের সীমারেখা ভেঙে দেবে বলে বিশ্বাস নির্মাতাদের। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবলিনা কুমার, ইশান মজুমদার, ইন্দ্রজিৎ মজুমদার, তনিষ্ঠা বিশ্বাস, স্বরিত ঘোষ, ঋতুজা দাস এবং আরও অনেকে।

 

 

 

 

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এমন এক অভিজ্ঞতা আসতে চলেছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি। 'কালহা' নিয়ে আসছে একেবারে ইউরোপীয় হরর-এর স্বাদ, যা সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভিন্নতর নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে বাংলা সিনেমাকে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। হরর এখন আর শুধু হলিউডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এই ছবিই তার প্রমাণ।

 

আরও পড়ুন: জোড়া চমক টিআরপিতে! পুরনোদের টেক্কা দিয়ে জায়গা করে নিল 'জোয়ার ভাঁটা', সেরা পাঁচে টিকে রইল কারা? 

 

এই আবহ তৈরি করতে পরিচালক অয়ন আচার্যের নেতৃত্বে গোটা টিমকে গড়ে তুলতে হয়েছে বিশেষ সেট, যা বাংলার মাটিতে তৈরি হলেও ইউরোপীয় সিনেমার ছায়া বহন করছে। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে এক্সরসিজম, অকাল্ট বিদ্যা এবং তার ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

 

 

 

 

ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন প্রাজ্ঞ দত্ত। তাঁর সুর ও গান এই ছবিকে নতুন এক সৃজনশীল মাত্রা দেবে এবং ভয়ের সাথে মিশিয়ে দেবে এক অনন্য সঙ্গীত-অভিজ্ঞতা। তার রচিত ভিন্ন ঘরানার সঙ্গীত আরও একবার বাংলা ছবিকে নতুন করে ভাবাবে। 

 

 

 

 

জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অবদানে। এক্সিকিউটিভ প্রযোজক মৌমিতা পোদ্দার, যিনি পুরো টিমটিকে দক্ষতা ও স্বচ্ছন্দভাবে পরিচালনা করছেন এবং নিশ্চিত করছেন যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী দৃষ্টিভঙ্গিটি নিখুঁতভাবে বাস্তবে রূপ নেয়। আর্ট ডিরেক্টর নাফিসা খাতুন, একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও বহুমুখী শিল্প নির্দেশক, যিনি তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং কাজটি হাতে নিয়েছেন—দুঃসাহসী ও সূক্ষ্ম নকশার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অস্বস্তিকর আবহকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।

 

 

 

 

এই ছবির চিত্রনাট্য, আর্ট ডিরেকশন, সিনেমাটোগ্রাফি, মেকআপ এবং কস্টিউম, সব ক্ষেত্রেই এই ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের ধারা বদলে দেবে। এর সাহসী ভিজ্যুয়াল প্যালেট শুধু দর্শককে বিস্মিতই করবে না, বরং টলিউডের ইতিহাসে তৈরি করবে এক নতুন মাইলস্টোন। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া ও কলকাতা মিলিয়ে হয়েছে ছবির শুটিং। পুজোর পর হবে ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬-এই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে এই হরর-থ্রিলার।