সংবাদ সংস্থা মুম্বই: শাহরুখ খানের ‘মন্নত’–এ চলছে জোরদার সংস্কার। আর ঠিক সেই সময়ই সেখানে হাজির হয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভার (বিএমসি) ও বন দফতরের এক যৌথ দল! যদিও পুরসভার তরফেদাবি, বন দফতরের অনুরোধ পেয়েই তাঁরা যৌথ পরিদর্শনে গিয়েছেন। একজন সমাজকর্মীর অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। খবর, বেআইনি নির্মাণ, অবৈধ ভাবে ভবন সংস্কারে আশঙ্কায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা।
শাহরুখ-গৌরীর বিলাসবহুল প্রাসাদতুল্য বাড়ি মন্নত। যেখানে একদিকে একটি ঐতিহ্যবাহী বাংলো, অন্যদিকে সাততলা —এই পুরো জায়গাতে চলছে সংস্কারের কাজ। এর মধ্যেই শাহরুখ ও তাঁর পরিবার আপাতত স্থানান্তরিত হয়েছেন বান্দ্রার পালি হিলের ‘পূজা কাসা’ বিল্ডিংয়ে।
যদিও শাহরুখ খানের টিমের দাবি, সব কাজই হচ্ছে নিয়ম মেনে, যথাযথ অনুমতিপত্র হাতে রেখেই। বাদশা র আপ্ত সহায়ক পূজা দাদলানি গোটা ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। স্পষ্টভাবে তিনি বলেছেন, “বেআইনি কাজের কোনও প্রশ্নই নেই। সমস্ত কাজ হচ্ছে যথাযত নির্দেশিকা মেনে।”
এক বন দফতরের আধিকারিক জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতেই এই জায়গার পরিদর্শন হয়েছে। এখন আমরা রিপোর্ট তৈরি করছি। বৃহন্মুম্বই পুরসভার টিম আমাদের সহায়তার জন্যই ছিল।” অভিযোগটি দায়ের করেছেন সমাজকর্মী সন্তোষ দাউন্ডকার। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও সমাজকর্মী ওয়াই পি সিংয়ের দাবি, ২০০৫ সালে যেভাবে মন্নতের ভিতরে ১২টি ছোট ফ্ল্যাট অনুমোদন করিয়ে পরে তা একত্র করে বিলাসবহুল প্রাসাদ বানানো হয়েছে, তা আদতে নগরোন্নয়ন আইন লঙ্ঘনের সামিল। তাঁর মতে, নগর-ভূমি সীমা আইন কার্যকর নাকি কার্যকর হয়নি। এবার মালিকদের সেই ফ্ল্যাটগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে আইনি কাঠামো মেনে, যাতে শহরের হাউজিং লক্ষ্যপূরণ হয়।
শাহরুখ খান, যিনি যুগের পর যুগ মান্নাত-এর বাসিন্দা ছিলেন, বর্তমানে তাঁর পরিবার নিয়ে উঠেছেন পালি হিল এলাকার হাইএন্ড বিল্ডিং ‘পূজা কাসা’-র চারতলা জুড়ে। এই বিল্ডিংয়ের মালিক জনপ্রিয় প্রযোজক বাসু ভগনানি।
