সলমন খানের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো 'বিগ বস ১৯'-এর প্রতিযোগী তানিয়া মিত্তলকে ঘিরে এবার নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং উদ্যোক্তা তানিয়া বিগ বসের ঘরে নিজেকে ‘হাই-মেইনটেনেন্স’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রান্নাবান্না তাঁর কাজ নয়, তাঁর নিরাপত্তার জন্য রয়েছে প্রায় ১৫০ জন দেহরক্ষী, এমনকী অন্য প্রতিযোগীদেরও তাঁকে 'ম্যাডাম' বা 'বস' বলে সম্বোধন করতে হবে।
কিন্তু এই বড়াইভরা দাবি নিয়ে মুখ খুললেন তানিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক বলরাজ সিং। তিনি পেশায় একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। সম্প্রতি এক ভিডিওতে বলরাজ বলেন, “আমাদের সম্পর্ক টেকেনি কারণ তানিয়া সম্পূর্ণ নকল। আমি ভুয়া মানুষ পছন্দ করি না। তাঁর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আন্তরিকতার অভাব।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, তানিয়া বন্ধুত্ব বা সম্পর্কের শুরুতে খুব যত্নবান হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ফিকে হয়ে যায়, আর প্রয়োজন শেষ হলে তিনি মানুষের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন।
তানিয়ার তথাকথিত ‘আধ্যাত্মিক’ ইমেজকেও কটাক্ষ করেছেন বলরাজ। তাঁর কথায়, “তিনি নিজেকে স্পিরিচুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার বলে দাবি করেন, কিন্তু আসলে ধর্মকে ব্যবহার করছেন জনপ্রিয়তার জন্য। তিনি আজ রূপোর গ্লাসে জল খান, কিন্তু একসময় প্লাস্টিক বোতল থেকেই খেতেন। সবটাই কেবল ইমেজ তৈরির খেলা।”
তবে সমালোচনার পাশাপাশি বলরাজ এও স্বীকার করেছেন, তানিয়ার ব্যবসায়িক বুদ্ধি ও জনপ্রিয়তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর মতে, যদি তানিয়া নিজের আসল সত্তা দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন, তাহলে মানুষ আরও বেশি করে তাঁর সঙ্গে সংযোগ অনুভব করবে।
কে এই তানিয়া মিত্তল?

২০০০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম তাঁর, বয়স এখন ২৫। তিনি চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করেন। মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন ‘হ্যান্ডমেড লাভ বাই তানিয়া’ নামে একটি ব্র্যান্ড, যা পরবর্তীতে জনপ্রিয় ব্যবসায় পরিণত হয়। ২০১৮ সালে তিনি হন ‘মিস এশিয়া ট্যুরিজম’। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে তাঁর ২৫ লক্ষের বেশি ফলোয়ার এবং মোট সম্পত্তি প্রায় দু'কোটি টাকা। পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক কাজেও সক্রিয়।
আরও পড়ুন: বিরাট আইনি জটে সুহানা খান! কী এমন কাণ্ড ঘটালেন শাহরুখ-কন্যা?
সব মিলিয়ে, একদিকে তানিয়ার উত্থান ও জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে প্রাক্তন প্রেমিকের বিস্ফোরক অভিযোগ—এই দ্বন্দ্বই এখন বিগ বসের বাড়িতে তাঁকে ঘিরে উত্তেজনার মূল কারণ। দর্শক শেষ পর্যন্ত তাঁর আসল চেহারা কতটা চিনতে পারেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
