এক সময় তাঁদের প্রেমের গুঞ্জনে উত্তাল ছিল চারদিক। একের পর এক ছবি। সেট থেকে আলাপ, আলাপ থেকে বন্ধুত্ব এবং তারপরই নাকি মন দেওয়া-নেওয়া। অঙ্কুশ হাজরা এবং নুসরত জাহানের সমীকরণ নিয়ে আজও চর্চা বিস্তর। নায়ক-নায়িকা যদিও তাঁদের সম্পর্ককে ‘বন্ধুত্ব’-এর তকমাই দিয়েছেন আগাগোড়া! তবু জল্পনা কি থামে!

বহু বছর পর ফের এক ছবিতে অঙ্কুশ-নুসরত। সৌজন্যে ‘রক্তবীজ ২’। মুক্তি পেয়েছে ছবিটির আইটেম গান। নাম ‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার পার’। পর্দায় নতুন করে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা। বহু প্রতীক্ষিত সাহসী অবতারে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। গাঢ় সবুজ স্বল্প বাসেই ভক্তদের মনে দোলা দিতে প্রস্তুত। বিস্ফোরকের ড্রাম থেকে বেরোনোর পর তিনি যেন আক্ষরিক অর্থেই বারুদ!

এবার নিজের আসন্ন ছবির সেই গানের ভূয়সী প্রশংসরা করলেন অঙ্কুশ। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখলেন, ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’, ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’র পর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় আরেকটা দারুণ আইটেম গান নিয়ে এসেছেন। এই পুজোয় অর্ডার ছাড়া বর্ডার পার-এর সুরে নাচার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।’

নুসরতের নাম না করেই তাঁর আইটেম গানের প্রচার করলেন অঙ্কুশ। সহকর্মীর সঙ্গে যেন বজায় রাখলেন এক অঘোষিত দূরত্ব।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ অগাস্ট মুক্তি পায় বহু প্রতীক্ষিত বাংলা ছবি ‘রক্তবীজ-২’-এর প্রথম ঝলক। হাতে আর মাত্র কয়েক দিন। ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘রক্তবীজ ২’। তার আগেই মুক্তি পেল এই নতুন গানের ঝলক।

শিবপ্রসাদ-নন্দিতা পরিচালিত এই অ্যাকশন-ড্রামায় চিরাচরিত ছক ভেঙে অন্য রূপে অঙ্কুশ হাজরা। আদ্যপান্ত বাণিজ্যিক ছবির হিট নায়ক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের অ্যাকশন থ্রিলারে খলনায়ক। চরিত্রের নাম মুনির আলম। শান্ত চাউনি, পরিমিত অভিব্যক্তি। জীবনের মন্ত্র, ‘মাইনষের থেইক্যা মকসদ বড়।’ ছবির প্রথম ঝলক দর্শকের মনে ধরেছে।

‘রক্তবীজ’ যাঁরা দেখেছেন, সিকুয়েলে অঙ্কুশের উপস্থিতি তাঁদের কাছে নতুন চমক নয়। কিন্তু তাঁর নয়া অবতার নিয়েও আগ্রহ নিছক কম নয়। আজকাল ডট ইন-কে অঙ্কুশ বলেন, “এই মুহূর্তে ছবিটি বা আমার চরিত্র নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে টিজার মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়ায় খুবই খুশি। তাঁরা আমাকে এই নতুন অবতারে গ্রহণ করেছেন ভেবে ভাল লাগছে। আশা করি ছবিটিও সকলে উপভোগ করবেন।”

বহু বছর পর মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে পর্দায় অঙ্কুশের প্রত্যাবর্তন। সৌজন্যে ‘রক্তবীজ’ ২। তবে পর্দায় এবার প্রেম নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অনুরাগীরা তাঁদের একসঙ্গে দেখতে চেয়েছিলেন। পুজোয় সেই ইচ্ছাপূরণের পালা। নায়কের কথায়, “অনেক দিন পর মিমির সঙ্গে কাজ করলাম। আগের মতোই মজা করেছি। সব মিলিয়ে শুটের দারুণ অভিজ্ঞতা।”