সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর চর্চায় ছিলেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে। এরপর ব্যবসায়ী ভিকি জৈনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এরপর থেকেই নেটিজেনদের চর্চায় রয়েছে তাঁদের দাম্পত্য। এবার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ভিকি জৈনের পরিবারকে ঘিরে ফের একবার উঠল বিতর্কের ঝড়। সম্প্রতি ছত্তিশগড় রাজ্য জিএসটি বিভাগের এক বিশাল তল্লাশি অভিযানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভিকি জৈনের পৈতৃক ব্যবসায়ী মহলে।
বিলাসপুরের কয়লা ব্যবসায়ী হিসেবে জৈন পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় রাজনীতি ও বাণিজ্যের কেন্দ্রে। সেই খ্যাতনামা পরিবারটির একাধিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক ঠিকানায় অভিযান চালিয়েছেন জিএসটি-র এনফোর্সমেন্ট দল।
সূত্রের খবর, গত ১২ ডিসেম্বর সকাল থেকে একটানা এই তল্লাশি অভিযান চলে। শুধু অফিস বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই নয়, ভিকি জৈনের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ১১টি ঠিকানায় একইসঙ্গে হানা দেয় রায়পুর থেকে আসা বিশেষ জিএসটি দল। অভিযোগের মূল কারণ ছিল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট-এর ক্ষেত্রে গুরুতর গরমিল এবং বড় অঙ্কের কর ফাঁকির সন্দেহ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মূলত কয়লার মিশ্রণ ও লেনদেনের ক্ষেত্রে করের হিসাবে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে।
তল্লাশি অভিযানের জেরে শেষমেশ বিশাল অঙ্কের কর সমর্পণ করতে বাধ্য হয় তিনটি প্রধান কয়লা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, যার মধ্যে ভিকি জৈনের পরিবারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা 'মহাবীর কোল ওয়াশারি' অন্যতম। জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে মোট ২৭.৫ কোটি টাকারও বেশি কর এবং জরিমানা হিসাবে কোষাগারে জমা পড়েছে। এর মধ্যে ভিকি জৈনদের পারিবারিক সংস্থাটি শুরুতেই প্রায় ১০ কোটি টাকা দেয় বলে জানা গিয়েছে। পরের দিন আরও দুটি সংস্থা ১১ কোটি এবং ৬.৫ কোটি টাকা জমা দেয়। এই বিপুল অঙ্কের কর দেওয়াই প্রমাণ করে যে কর ফাঁকির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ছিল না।
প্রসঙ্গত, এই খবরটি প্রকাশ্যে আসে যখন টেলি-দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ অঙ্কিতা লোখান্ডে এবং ভিকি জৈন তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর চতুর্থ বছর উদযাপন করছেন। বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং সম্প্রতি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘বিগ বস’-এর মঞ্চে তাঁদের উপস্থিতি জনসাধারণের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। এইরকম একটি সময়ে তাঁদের পরিবারের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এমন গুরুতর আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই তারকা মহলে এবং বিলাসপুরের ব্যবসায়িক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে জৈন পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা মন্তব্য করা হয়নি। তদন্ত এখনও জারি রয়েছে এবং জিএসটি কর্তৃপক্ষ আরও নথি ও প্রমাণের খোঁজ করছেন।
