৯০তম জন্মদিনের ঠিক আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বলিউডের 'হি-ম্যান'। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তিও হন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনে থাকার পর ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন সপ্তাহ দু'য়েক আগে। গত ২৪ নভেম্বর মহীরুহ পতন হল। এদিন তাঁর প্রয়াণের পর শোকজ্ঞাপন করলেন অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান।
এদিন সমাজমাধ্যমে 'বীরু'কে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট করেন অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভ তাঁর ফেসবুকের ৪৪৯৫তম পোস্টে ধর্মেন্দ্রকে 'মহীরুহ' বলে আখ্যা দেন। লেখেন, 'আরেকজন মহীরুহ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ছেড়ে গেলেন তাঁর এই রঙ্গভূমি। ছেড়ে গেলেন এক অপার নিস্তব্ধতা, যে কষ্ট সহ্য করা যায় না। ধরমজি... মহত্বের উদাহরণ। ওঁর উপস্থিতি, স্টারডম নয় কেবল, উনি বিরাট বড় মাপের একজন মানুষ ছিলেন। বড় মনের মানুষ ছিলেন, কী সাধারণ জীবনযাপন ছিল তাঁর। উনি ওঁর সঙ্গে ওঁর পাঞ্জাবের গোটা গ্রামকে যেন নিয়ে এসেছিলেন। এত উজ্জ্বল কেরিয়ার হওয়া সত্ত্বেও, মাটিতে পা রেখে চলতেন। আশেপাশের সমস্ত কিছু বদলেছে, কেবল উনি বদলাননি। ওঁর হাসি, ওঁর চার্ম, ওঁর উষ্ণতা... যাঁরাই ওঁর কাছাকাছি এসেছেন তাঁরাই এটা টের পেয়েছেন। এই পেশায় যা সত্যিই বিরল।' বলিউডের শেহেনশাহ এদিন আরও লেখেন, 'বাতাসে এখন এক অদ্ভুত শূন্যতা রয়েছে। এই শূন্যতা কখনও ভরাট হওয়ার নয়।'
https://www.facebook.com/100044185428261/posts/1404942657655235
প্রসঙ্গত, শোলে ছবিতে তাঁদের আইকনিক জুটি ভেঙেছিল পর্দায় 'জয়' ওরফে অমিতাভের মৃত্যুতে। বাস্তবে, 'জয়'কে একা রেখে চলে গেলেন 'বীরু'। এদিন ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যেও ছেলে অভিষেক বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বিগ বি।
অন্যদিকে শাহরুখ খান এদিন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর একটি ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। লেখেন, 'আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি ধরমজি। আপনি আমার কাছে আমার বাবার মতোই ছিলেন। আমায় এত ভালবাসা, আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ওঁর মৃত্যু কেবল ওঁর পরিবার বা সিনেমা জগতের নয়, গোটা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। আপনি চিরকাল থেকে যাবেন, আপনার কাজ, আপনার সুন্দর পরিবারের মধ্যে দিয়েই আপনি থেকে যাবেন। ভালবাসি।'
https://www.facebook.com/100044512056370/posts/1413539280139794
৮৯ বছর বয়সে ২৪ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর শেষকৃত্যে এদিন সলমন খান, শাহরুখ খান, থেকে শুরু করে আমির, সহ বলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্ব হাজির ছিলেন। হেমা মালিনী, এষা দেওলকেও বাবার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। বলিউডের 'হি-ম্যান' ছিলেন ধর্মেন্দ্র। ছয়ের দশকের বেশি সময় ধরে তিনি 'শোলে', 'চুপকে চুপকে', 'রাম বলরাম', 'দ্য বার্নিং ট্রেন', 'মেরা করম মেরা ধরম', 'রকি অর রানি কী প্রেম কাহানি', ইত্যাদির মতো ছবিতে কাজ করেছেন।
