সূত্র বলছে, প্রয়াত বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। জন্মদিনের মাত্র কয়েকদিন আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। দীর্ঘ অসুস্থতার পর অন্য সুরলোকে ভারতীয় সিনেমার ‘বীরু’। পরিবারের তরফে যদিও এখনও এই খবরে শিলমোহর দেয়নি।
তবে ধর্মেন্দ্রর শেষ যাত্রায় মুম্বইয়ে শ্মশানে এক-এক করে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বলিউডের ‘হি ম্যান’কে শ্রদ্ধা জানাতে ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন আমির খান। অভিনেতার মুখে নেই সেই চেনা হাসি। চোখ-মুখে শোকের ছাপ। ‘বীরু’-কে শেষবারের মতো দেখতে পৌঁছে যান ‘জয়’ অমিতাভ বচ্চনও। ‘শোলে’ ছবির হাত ধরে বন্ধুত্বের নজির গড়েছিলেন তাঁরা। আজ বন্ধুকে একা রেখে না-ফেরার দেশে পাড়ি ধর্মেন্দ্রর। অমিতাভের সঙ্গে ছিলেন ছেলে অভিষেক বচ্চনও। ধর্মেন্দ্র অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে ঢালের মতো ছিলেন হেমা মালিনী। স্বামীর শেষবারের মতো দেখতে উপস্থিত তিনিও। সঙ্গে মেয়ে এষা দেওল।
শাহরুখের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর রসায়নের কথা সকলেরই জানা। প্রিয় অভিনেতাকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেতা।
ছয় দশকের কেরিয়ারে রোমান্টিক নায়ক, অ্যাকশন হিরো থেকে কমেডি কিং… সবেতেই ছিলেন তিনি অপ্রতিরোধ্য। ছয়ের দশকে পর্দায় অভিষেক। তারপর থেকেই একের পর এক চরিত্রে নিজেদের অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রমাণ করেছেন ধর্মেন্দ্র সিং দেওল। কখনও রোমান্টিক নায়ক, কখনও কঠিন-মজ্জার অ্যাকশন হিরো, আবার কখনও নিখাদ কমেডির মাস্টার- তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ অভিনেতার সংজ্ঞা।
চলতি মাসের শুরুতে ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন জানা গিয়েছিল, তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং কিছু সময়ের জন্য ভেন্টিলেটর সাপোর্টও দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহরুখ খান, আরিয়ান খান, সলমন খানের মতো তারকারা ছুটে গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে।
১২ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁকে দেখতে এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অনিল শর্মা, গুড্ডু ধানোয়া প্রমুখ। হেমা মালিনীও স্বামী বাড়ি ফেরায় খানিক স্বস্তিতে ছিলেন। আর কয়েকদিন পরেই ছিল অভিনেতার জন্মদিন—৮ ডিসেম্বর। বিশেষ দিনটিকে ঘিরে পরিবারে ছিল একগুচ্ছ পরিকল্পনা, আনন্দ করার প্রস্তুতি। কিন্তু সব কিছু থমকে গেল হঠাৎই। ৯০-এ পা রাখার আগেই তিনি চলে গেলেন সবাইকে শোকের সাগরে ডুবিয়ে। রেখে গেলেন শুধু স্মৃতি, অমলিন হাসি আর অগণিত মানুষের ভালবাসা।
