গত ৭ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী এবং মডেল জারিন খান। হৃতিক রোশনের প্রাক্তন শাশুড়ির স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল সোমবার, ১০ নভেম্বর। মুম্বইয়ের সেই অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিতে এসেছিলেন জিতেন্দ্র। আর তখনই ঘটল বিপত্তি।
এদিন জিতেন্দ্র যখন জারিন খানের শোকসভায় আসেন তখন তিনি আচমকাই হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। আশেপাশে যাঁরা ছিলেন সকলেই দৌড়ে আসেন। তাঁকে তুলে ধরেন। অভিনেতার পরনে ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি, পায়জামা ছিল। যদিও এদিন এভাবে পড়ে যাওয়ায় কোনও গুরুতর আঘাত পাননি তিনি। নিজেকে সামলেও নেন দ্রুত।
তবে তাঁর এই পড়ে যাওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনুরাগীরা। বর্ষীয়ান অভিনেতার স্বাস্থ্যের খবর নিতে অনেকেই সেই ভাইরাল ভিডিওতে জিজ্ঞেস করেছেন যে তিনি সুস্থ আছেন কিনা। বর্তমানে একদিকে যখন ধর্মেন্দ্র এবং প্রেম চোপড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তখন জিতেন্দ্রর এভাবে পড়ে যাওয়ায় অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।
জারিন খানের শেষকৃত্যে এদিন বলিউডের একাধিক তারকাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এসেছিলেন সুজান খানের প্রাক্তন স্বামী হৃতিক রোশনও। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও জারিন খানকে অভিনেতা 'মা' বলেই ডাকতেন। সুজানের সঙ্গেও তাঁর যথেষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ফলে এই কঠিন সময়ে বন্ধুর পাশে থাকতেই তিনি এসেছিলেন। এছাড়া ফারদিন খান, রানি মুখোপাধ্যায়, শ্বেতা বচ্চন, প্রমুখ এসেছিলেন। প্রার্থনা সভায় দেখা গিয়েছে চাঙ্কি পাণ্ডেকেও।
প্রসঙ্গত, ৭ নভেম্বর সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন জারিন খান। তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এদিন প্রয়াত হন বর্ষীয়ান, প্রাক্তন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। জারিন খানের শেষকৃত্য হিন্দু রীতিনীতি মেনে পালন করা হয় এদিন। সুজান খানের ভাই জায়েদ খান এদিন মায়ের মুখাগ্নি করেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে জারিন খানের আলাপ হয় পড়শি সঞ্জয় খানের সঙ্গে। প্রেমে পড়েন তাঁরা। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে বিয়েও করেন। জারিন খান ১৯৬০ এর দশক থেকে ১৯৭০ এর গোড়ার দিক পর্যন্ত চুটিয়ে অভিনয় এবং মডেলিং করেছেন। তিনি কাজ করেছেন 'এক ফুল দো মালি', 'তেরে ঘর কে সামনে', ইত্যাদি ছবিতে। কেবল, অভিনয় বা মডেলিং নয়। জারিন খান বইও লিখেছেন। একটা সময় প্রচার, খ্যাতির আলোয় থাকলেও, আচমকাই সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন জারিন খান।
