আদিত্য ধরের ‘ধুরন্ধর’-এ রহমান ডাকাত রূপে অক্ষয় খান্নার দুর্দান্ত অভিনয় এবং দাপট এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তাঁর আইকনিক লুক, তীক্ষ্ণ অভিব্যক্তি এবং বাহরাইনের র‍্যাপার ফ্লিপারাচির গাওয়া ট্র্যাক ‘এফএনাইনলএ’তে ভাইরাল নাচ—সব মিলিয়ে ছবির অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন তিনি। রণবীর সিং, অর্জুন রামপাল, সারা অর্জুন এবং আর. মাধবনের উপস্থিতির মাঝেও পর্দায় অক্ষয়ের উজ্জ্বলতা আলাদা করে নজর কাড়ছে। এতটাই যে, নেটিজেনরা এখন তাঁর পুরনো কাজের ক্লিপ ঘেঁটে প্রশংসা করছেন। কেউ কেউ তো মজার ছলে অক্ষয়ের এই নতুন সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন ‘তিস মার খান’-এ তাঁর সহ-অভিনেতা অক্ষয় কুমারকেও। কারণ, ওই ছবিতেই যেন ‘অক্ষয় খান্নাকে আবিষ্কার’ করেছিলেন অক্ষয় কুমার।

যাঁরা বিষয়টি এখনও বোঝেননি, তাঁদের জন্য বলে দেওয়া ভাল, ফারাহ খান পরিচালিত ‘তিস মার খান’এ এক কন আর্টিস্টের চরিত্রে অভিনয় করা অক্ষয় কুমার নিজেকে পরিচালক সাজিয়ে অভিনেতা অক্ষয় খান্নাকে সিনেমার প্রস্তাব দিতে তাঁর বাড়িতে যান। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেই ছবিতে অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছিলেন অতীশ কাপুরের চরিত্রে। পেশায় যে একজন অভিনেতা। অস্কার পাওয়াই ছিল তার জীবনের মূল লক্ষ্য। দু’জনের প্রথম দৃশ্যে অক্ষয় কুমার অত্যন্ত প্রশংসা করে অক্ষয় খান্নাকে ‘সুপারস্টার’ আখ্যা দেন, এমনকি বুঝিয়ে দেন যে তিনি অস্কার পাওয়ার যোগ্য একজন অভিনেতা।

‘ধুরন্ধর’  মুক্তির পর সেই দৃশ্যই আবার ভাইরাল হয়েছে, আর ভক্তরা মজার ছলে অক্ষয় কুমারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অক্ষয় খান্নাকে ‘আবিষ্কার’ করার জন্য। সম্প্রতি এমনই একটি পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অক্ষয় কুমার। এক নেটিজেন ছবির সেই দৃশ্য শেয়ার করে লেখেন, ‘ধন্যবাদ ডিরেক্টর সাহেব, আমাদের এমন এক অসাধারণ অভিনেতা দেওয়ার জন্য…’ জবাবে অক্ষয় কুমার লেখেন, ‘কখনও গর্ব করিনি ভাই… কখনও গর্ব করিনি।’
অক্ষয়ের প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এক রেডিট ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘তিস মার খান সত্যিই আইকনিক ছিল। রেফারেন্সটা দারুণ লাগল।’ আরেক ভক্তের মন্তব্য, ‘সর্বকালের সেরা জুটি। তিস মার খান ২ চাই!”

সপ্তাহের শুরুতে অক্ষয় কুমার ‘ধুরন্ধর’ দেখেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। তিনি লেখেন, ‘ধুরন্ধর দেখেছি এবং সত্যিই মুগ্ধ। দুর্দান্ত উপস্থাপন। আর আদিত্য, তুমি অসাধারণ কাজ করেছ। আমাদের গল্পগুলো এভাবেই শক্তিশালী ভাষায় বলা উচিত, এবং দর্শকরা যে ছবিটিকে এত ভালবাসা দিচ্ছে তা সত্যিই আনন্দের।’

আদিত্য ধর পরিচালিত এই ছবির স্টারকাস্ট, বিষয়বস্তু এবং ব্যাপ্তির কারণে শুরু থেকেই ছিল তীব্র কৌতূহল। এবং সঙ্গে বিতর্কও। বড়পর্দায় নামার সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ‘ধুরন্ধর’।যদিও দিনের শুরুতে পরিস্থিতি খুব একটা ভাল ছিল না। সকাল ও দুপুরের শো-তে দর্শক সংখ্যা ছিল মাঝারি। অনেকেই ভাবছিলেন, হয়তো ছবিটি খুব বড় ওপেনিং পাবে না। কিন্তু মুক্তির দিন দুপুরের পরই বদলে যায় ছবির ভাগ্য। যারা প্রথম শো দেখেছিলেন, তাদেঁর ভাল রিভিউ এবং সমাজমাধ্যমে প্রশংসা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সন্ধ্যা এবং রাতের শোয়ে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অনেক জায়গায় রাতের শো হাউসফুল হয়ে যায়। দিন শেষে মোট আয় গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ কোটির কাছাকাছি। ছ’দিনের মাথায় এই ছবির আয় বিশ্বব্যাপী ২৭০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।