টেলিভিশন অভিনেতা জয় ভানুশালি এবং মাহি ভিজ তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে— এমনই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিনোদন জগতে। বর্তমানে অভিনেত্রী মাহি ভিজ প্রচন্ড জ্বর এবং চরম দুর্বলতা নিয়ে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তাঁর অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অনুরাগীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাহি ভিজ-এর টিম মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাঁর খুব জ্বর এবং অত্যন্ত দুর্বলতা রয়েছে এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তাররা এই মুহূর্তে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু এই মুহূর্তে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
অভিনেত্রী নিজেও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা দেখে তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। বর্তমানে তিনি মারাত্মক ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছেন এবং তাঁর ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আসন্ন টেলিভিশন কামব্যাকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিনেত্রী, এমন সময় তাঁর অসুস্থতা স্বাভাবিকভাবেই অনুরাগীদের বিচলিত করেছে।
অভিনেত্রীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর সামনে আসতেই প্রচন্ড জ্বর সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, জ্বর কোনও রোগ নয়, বরং এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, যা কোনও সংক্রমণ বা অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয়। তবে শরীরের তাপমাত্রা যখন একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
এমনকী, সাধারণ জ্বরও হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জটিলতা বাড়াতে পারে। কারণ জ্বরের সময় হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়, যা শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। অনুরাগীরা, মাহি ভিজ-এর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন, বিশেষ করে যখন তিনি দীর্ঘ বিরতির পর তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট 'সেহের হোনে কো হ্যায়' নিয়ে ছোটপর্দায় ফিরতে প্রস্তুত।

১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে— এমনই গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিনোদন জগতে। অবশেষে নিজের নতুন ভ্লগে মুখ খুললেন মাহি। জানালেন, এই সমস্ত জল্পনা এবং ৫ কোটি টাকা খোরপোশ নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে নিজের এক ভিডিওয় মাহি বলেন, “আমি কোথাও পড়েছি যে আমি নাকি ডিভোর্স পেপারে সই করেছি! কেউ যদি সেই কাগজটা দেখাতে পারেন, দয়া করে দেখান। যতক্ষণ না আমরা নিজেরা কিছু বলছি, ততক্ষণ আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। আমরা জনসম্মুখে পরিচিত ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সবকিছু আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।”
মাহি আরও বলেন, “আমাদের একটু বাঁচতে দিন। আমরা সেলিব্রিটি বলেই সব জানাতে বাধ্য নই। কেউ লিখেছে আমি নাকি ৫ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছি— আমি বা জয় কেউ কি তা বলেছি? প্রমাণ থাকলে তবেই কথা বলুন। আসলে আমি তো ঠিক জানিই না অ্যালিমনি কী! আমার মতে, যদি একজন পুরুষ নিজের পরিশ্রমে উপার্জন করেন, তাহলে আলাদা হওয়ার পর সেই টাকার ওপর স্ত্রীর কোনও অধিকার থাকা উচিত নয়।”
মাহি বলেন, “যতক্ষণ না আমার মুখে কিছু শুনছেন, দয়া করে কোনও খবর বিশ্বাস করবেন না। আমাদের, আমাদের সন্তানদের ও বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। যদি কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি, আমরা নিজেরাই জানাব। জয় আমার পরিবার, এবং সে চিরকাল আমার পরিবারই থাকবে। সে আমার সন্তানের জন্য এক অসাধারণ বাবা এবং একজন সুন্দর মানুষ।”
