বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও খবরের শিরোনামে এসেছেন তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন আর দুর্লভ ফ্যাশন কালেকশন নিয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর কাছে রয়েছে প্রায় ৪০০টির মতো ডিজাইনার ব্যাগ, যেগুলোর মূল্য কোটি টাকারও বেশি। ছোটবেলা থেকেই নামী সংস্থার ব্যাগ আর পোশাকের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল। এমনকী স্কুলজীবনেই তিনি ব্যবহার করতেন একটি দামী ডিজাইনার ব্যাগপ্যাক, যা তখন ভারতের অধিকাংশ মানুষ চিনতেও পারত না। উচ্চারণও নাকি করতে পারত না ওই সংস্থার নাম!
এক সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেন, “আমি সবসময় এমন কিছু জিনিসের প্রতি টান অনুভব করেছি যেগুলো আলাদা আর মানসম্পন্ন। ব্যাগ আমার কাছে শুধু ব্যবহার করার জিনিস নয়, বরং ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অংশ।” তাঁর মতে, পরিবারের পরিবেশ থেকেই এই রুচি ও ভাল লাগা তৈরি হয়েছিল। মা, মাসি বা দিদা—সবাই ছিলেন ফ্যাশনের প্রতি মারাত্মক সচেতন। বিশেষ করে দিদা ঘরে থেকেও দিনে তিনবার শাড়ি পাল্টাতেন এবং নিজের সাজগোজে কোনও খুঁত রাখতেন না। সেই অভ্যাসই তাঁকে শিখিয়েছে সুন্দর আর পরিপাটি থাকার গুরুত্ব।

অভিনেত্রী জানান, তাঁর সংগ্রহে এমন অনেক ব্যাগ রয়েছে যেগুলো আজকের দিনে বাজারে আর পাওয়া যায় না। সীমিত সংস্করণের সেই ডিজাইনার ব্যাগগুলো তিনি যত্ন করে সামলে রাখেন। তিনি বলেন, “আমি অনেক সময় দেখি মানুষ ব্র্যান্ডের নামই উচ্চারণ করতে পারে না, অথচ আমার সংগ্রহে সেগুলো বহু বছর ধরেই আছে। এটা আমার কাছে গর্বের।”
তবে তিনি এটাও জোর দিয়ে বলেছেন যে, অর্থ বা আড়ম্বরের জন্য তিনি এসব সংগ্রহ করেননি। কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর পারিবারিক সংস্কারই তাঁকে বিলাসবহুল জিনিস উপভোগ করতে শিখিয়েছে। তাঁর মতে, ব্যাগ বা পোশাক কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, বরং পরিশ্রম আর সাফল্যের প্রতীকও বটে। তিনি হেসে বলেন, “আমি যদি বাড়ি থেকেও বের না হই, তবুও চাই আমার ব্যাগ দেখতে টিপটপ হোক।”
আমিশার ফ্যাশন সচেতনতা বহুদিনের। যখন ভারতীয় সমাজে ব্র্যান্ড কালচারের এত প্রচলন ছিল না, তখন থেকেই তিনি ডিজাইনার ব্যাগ ব্যবহার করতেন। তাঁর জন্য এগুলো ছিল আবেগের মতো—যেন একটি সংগ্রহশালা, যেখানে প্রতিটি ব্যাগ বিশেষ স্মৃতি বহন করে।
শুধু ফ্যাশন নয়, কাজের ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে মনোযোগী। বলিউডে পা রাখার পরও তিনি কখনও অর্থকেই লক্ষ্য করেননি, বরং কাজের মান আর চরিত্রের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আমিশা স্পষ্ট করে বলেছেন, তাঁর জীবনধারা বা সংগ্রহ শুধু বাহ্যিক চাকচিক্য নয়, বরং পরিবারের দেওয়া মূল্যবোধ আর নিজের কঠোর পরিশ্রমের প্রতিফলন। তাই তাঁর কাছে প্রতিটি ব্যাগ, প্রতিটি জিনিস অনেকটা আবেগের মতো—যা তাঁর ব্যক্তিত্বকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
