প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ১৭ আগস্ট থেকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল অভিনেতাকে। সোমবার হার্ট অ্যাটাকের কারণে আর শেষরক্ষা হয়নি। ১১:৩৫ নাগাত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

 

জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরীর নাম। ‘অভাগিনী’ আর ‘হীরক জয়ন্তী’ ছবিতে কাজ করতে গিয়েই তাঁদের প্রেম। দু'জনের পরিবারেও সায় ছিল সম্পর্কে। বিয়ের কথাও চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সম্পর্ক ভাঙে। 


এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘সম্পর্ক টিকল না। তার পর আমরাও আর জুটি বেঁধে অভিনয় করিনি। আজ আমরা দু’জনেই আরও পরিণত। এখন মাঝেমধ্যে আফসোস হয়, পেশাজীবনে ব্যক্তিজীবনের ছায়া পড়তে না দিলেই মনে হয় ভাল হত।’ একদিকে ঘরোয়া, বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অন্যদিকে পর্দার সফল নায়িকা! চুমকির মুখের লালিত্যে বুঁদ ছিলেন জয়। অথচ টিকল না প্রেম। 

 

তবে চুমকি চৌধুরী এবং জয়ের জুটি এখনও সিনেপ্রেমীদের কাছে আলোচিত। সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীর একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘মিলন তিথি’, ‘জীবন মরণ’, ‘নাগমতি’-সহ বহু ছবির নায়ক ছিলেন জয়। 'চপার' ছবিতে তাঁর অভিনয় বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছিল দর্শক মহলে। মাঝখানে অভিনয় থেকে কিছুটা দূরেই সরে গিয়েছিলেন। চলে গিয়েছিলেন অন্তরালে। জয় প্রচারের আলোয় ফিরে আসেন ২০১৪ সালে। তবে এবার অভিনয় নয় রাজনীতিতে। ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন জয়। শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে প্রার্থীও হন। তবে জিততে পারেননি তিনি। ২০১৯ এ ফের একবার বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হন জয়। তবে এবারও পরাজিত হতে হয় তাঁকে। ২০২২-এ বিজেপি ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন অভিনেতা।

 

রাজনীতিবিদ, অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় জয়ের। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সংসার ছিল প্রয়াত অভিনেতার। জয়ের মা-ও বেঁচে রয়েছেন। ছেলের মৃত্যুশোকে কাতর তিনি। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া।